যশোরে এক বিজিবি সদস্যের মামলা স্ত্রীর বিরুদ্ধে

স্বামীকে তালাক না দিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে প্রিয়াংকা পারভীন পিংকি নামে এক নারীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার যশোরে আদালতে মামলা করেছেন এক বিজিবি সদস্য।

কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে শাহারিয়া আহম্মেদ হাসিব নামে ভুক্তভোগী বিজিবি সদস্য মামলাটি করেছেন।

অভিযুক্ত পিংকি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। মামলায় পিংকি ছাড়াও তার মা রূপালী নাসরিন ও বোন ক্যাথি আক্তার কেয়াকে আসামি করা হয়েছে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কেশবপুর থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

মামলায় শাহরিয়া আহম্মেদ হাসিব উল্লেখ করেছেন, তিনি বিজিবি’র সিপাহী পদে চাকরি করেন। আসামি পিংকির সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়।

এরপর প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা কাবিনে তাকে বিয়ে করেন পিংকি। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে পিংকি কিছুদিন সেখানে বসবাস করেন।

কেশবপুরে স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে সার্বক্ষণিক মোবাইল ফোনে অন্য লোকের সাথে পিংকি’র মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়টি লক্ষ্য করেন হাসিব।

এছাড়া শ্বশুর শাশুড়িকে অবমাননা করতেন পিংকি। এসব দেখে হাসিবের সন্দেহ হয়। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পিংকি’র আরো একটি স্বামী রয়েছে।

ওই স্বামীর নাম হুসাইন আহমেদ। তিনি আলমডাঙ্গার আলিয়াটনগর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর ১ লাখ টাকা দেন মোহরে হুসাইন আহমেদের সাথে পিংকি’র বিয়ে হয়।

এছাড়া আরো একটি বিয়ে হয়েছিলো পিংকি’র। কিন্তু পিংকি তার সকল বিয়ের কথা গোপন রেখে এবং দ্বিতীয় স্বামী হুসাইন আহমেদকে তালাক না দিয়েই অবৈধভাবে বিয়ে করেছেন বিজিবি সদস্য হাসিবকে।

তিন মাসে আগে মা রূপালী নাসরিন ও বোন ক্যাথি আক্তার কেয়ার প্ররোচণায় পিংকি পিতার বাড়িতে চলে যান। এরপর গত ২২ অক্টোবর বিকেলে পিংকিসহ উল্লিখিত আসামিদের নিজ বাড়িতে ডেকে আনেন হাসিব।

তারা সেখানে এলে হাসিব আগের বিয়ের কথা গোপন করে তাকে বিয়ে করার কারণ জানতে চান পিংকি’র কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা হাসিবকে গালিগালাজ করেন এবং তার কাছে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন।

হাসিব তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।