যশোরে যৌতুকের দাবিতে সাবিনা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে মারপিট করে হত্যার পর মরদেহ ঘরের আড়র সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি বুধবার ২৭ অক্টোবর বিকালে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের তপসী ডাঙ্গা গ্রামে গৃবধূর শ্বশুর বাড়ি ঘটেছে । নিহতের মরদেহর ময়না তদন্ত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত সাবিনা তপসী ডাঙ্গা গ্রামের সেলিম হোসেনের স্ত্রী। একই ইউনিয়নের মাহিদিয়া আক্কাস গাজির মেয়ে। মেয়ের চাচা ওলিয়ার গাজী অভিযোগ করে বলেন, ছয় বছর আগে সেলিমের সাথে সাবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমরা পচুর টাকা খরচ করে মেয়েকে বিয়ে দিই।
মেয়ের দাম্পত্য জীবনে তাসিম নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। জামাই সেলিম প্রায়ই সময় যৌতুক দাবি করতো। টাকা দিলে মেয়ের সাথে ভালো ব্যাবহার করতো। না দিলে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।
ঘটনার দেড় দিন আগে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে ইট কেনার জন্য। ঘরের ছাদ দিতে আবার যৌতুক হিসাবে এক লাখ টাকা দাবি করে। মেয়ে সাবিনা টাকা দিতে অস্বীকার করায় বুধবার ২৭ অক্টোবর বিকালে সেলিম মারপিট করে আহত করে।
এক পর্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ওলিয়ার গাজী আরো জানান, সাবিনার পিঠে, কপালে, গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এটা আত্মহত্যা হতে পারে না এটা পরিকল্পিত হত্যা।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ ইনেসপেক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা পুলিশ বিষয়টি গভীর ভাবে ক্ষতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহতের মরদেহর ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।