জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, জুনোটিক রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর মৃত্যু ও আক্রান্তকালীন সময়ে প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক গরু মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্থ খামারীকে ৮০ হাজার টাকা দেয়া হবে।
আর অপ্রাপ্তবয়স্ক বাছুরের মৃত্যু হলে পাবে ৪০ হাজার টাকা। এ রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্ক, ব্রুসেলোসিস এবং বোভাইন টিবি। সেক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ গরু ও খামারীকে তালিকাভুক্ত করা হবে।
এছাড়াও জুনোটিক রোগে আক্রান্ত এবং নিরাপদ অপসারণের জন্যও রয়েছে প্রণোদনার ব্যবস্থা। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্প চলমান থাকবে। জুনোটিক রোগের ওপর খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় এসব তথ্য জানান ডা. মো. আজিজুল ইসলাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো, ফেরদৌস আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুখেন্দু শেখর গায়েন।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. বাহানুর রহমান প্রমুখ। কর্মশালায় যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও খামারীরা উপস্থিত ছিলেন।