কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে যশোরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

মুজিব বর্ষে পুলিশ নীতি, জনসেবা ও সম্প্রীতি এই প্রতিপাদ্যে যশোরে বর্ণিল সাজে পালিত হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে শনিবার ৩০ অক্টোবর সকালে জেলা পুলিশ ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে যশোর পুলিশ লাইন থেকে বের হয় র‌্যালি।

বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।

এসময় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিউিনিটি পুলিশংয়ের সদস্য সচিব ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন।

বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জেলা সমন্বয়ক জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ,

জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যশোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরি, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা ঈমাম পরিষদের উপদেষ্টা মাওঃ আব্দুল মান্নান, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অসীম কুন্ডু প্রমুখ।

জেলা কমিউিনিটি পুলিশিংয়ের সমন্বয়ক জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর কোন সুযোগ নেই। ধর্মীয় উৎসব পালন করতে গেলে উস্কানি দেয়া হয়। দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা হয়। এ সব বিষয়ে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলেও যশোরে হয়নি। এটা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারণে সম্ভব হয়েছে। একারণে যশোরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানায়। ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নসাৎ করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

কমিউিনিটি পুলিশিংয়ের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, আজকের পুলিশ আগে এ রকম ছিলো না। আগের পুলিশ ছিলো শাসকদের সম্পদ রক্ষা ও খাজনা আদায়ের পুলিশ। আর আজকের পুলিশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুল্যবোধ রক্ষাকারি পুলিশ। স্বাধীনতার সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পুলিশ রক্ত দিয়েছে।

তাই আজকের পুলিশ কোন দুর্নীতির সাথে থাকবে না। মানবাধিকার সংরক্ষন করে পুলিশ কাজ করবে। পুলিশের
সেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য আজকের এই কমিউনিটি পুলিশ। পুলিশ কোন সময নির্যাতনের হাতিয়ার হবে না।

মাদক ও অস্ত্রবাজদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, মাদক ও অস্ত্রের সাথে যারা থাকবেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। যশোরে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি করার সময় এখন কাউকে চাঁদা দিতে হয় না। কেউ জোর করে ইট বালি বিক্রি করতে পারে না। তারপরও কিছু জায়গায় গোপনে চাঁদাবাজি হচ্ছে সে গুলোও খুজে বের করে ব্যবস্তা নেয়া হবে।

নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রলয় কুমার বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বচনকে কেন্দ্র করে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মের কোন অবমাননা সরকার বরদাস্ত করবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্যাতের চেষ্টা করবে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।