স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ নথি গায়েবের ঘটনায় আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ নিয়ে এ মামলায় মন্ত্রণালয়ের ৯ জন কর্মচারী ও ১ জন ঠিকাদারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। নতুন যে তিনজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- অহিদ খান, সেলিম ও নবী। তারা সবাই মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। এদের মধ্যে অহিদ খান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার (১ নভেম্বর) এ ঘটনায় রাজশাহীর এক ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তার নাম নাসিমুল গণি টোটন। রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকায় তার বাড়ি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাজশাহীর একটি টিম সোমবার সন্ধ্যা থেকে তার বাড়িটি ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সিআইডির রাজশাহীর বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল জলিল জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে ১৭টি নথি গায়েব হয়েছে তার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের কেনাকাটার একটি নথি ছিল। ওই কেনাকাটার ঠিকাদার ছিলেন নসিমুল গণি টোটন।
তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকার সিআইডি মনে করেছে নাসিমুল গণি টোটনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ জন্য তাকে নিয়ে যেতে ঢাকা থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় বাড়িতে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমরা কিছু খোঁজার চেষ্টা করছিলাম।
তবে যা খুঁজছিলাম, তা পাইনি। বাড়ির দোতলায় থাকেন ঠিকাদার টোটন। আমরা নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত সবকিছুই দেখেছি। উল্লেখ্য, সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের পাশের একটি ঘর থেকে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার ১৭টি নথি খোয়া গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়েছিল। পরদিন ফাইলগুলো আর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়টি তদন্ত করছে সিআইডি।