যশোরে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় মামলা

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রাম থেকে পল্লী বিদ্যুত সমিতির ট্রান্সফরমারের তার চুরির ঘটনার ১৪ দিন পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা জলাকাম আনসার সড়ক দক্ষিণ কালিবাড়ির ইয়ার মোঃ সাইফ উদ্দিনের ছেলে বর্তমানে যশোর পল্লী বিদ্যুত সমিতর-১ এজিএম নাবিব আহম্মেদ সাইদ (৩৫) বাদি হয়ে রোববার ৭ নভেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।

মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসান আল মামুন নামে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলা দৌলতদিহি ক্লিনিক পাড়ার সাজ্জাদ হোসেন লাভলুর ছেলে।

মামলায় নাবিব আহম্মেদ উল্লেখ করেছেন, ২৫ অক্টোবর অফিসে এসে জানতে পারেন চুড়ামনকাঠি ইউনয়িনের বাগডাঙ্গা গ্রামের আমিরুলের ইটভাটা থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে।

পরবর্তীতে অফিসে কর্মরত এল এম-১ মোঃ ইয়াসিন আরাফাত, শহিদুল ইসলাম লাইন শ্রমিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দিন সকালে তিনি চুড়ামনকাঠি বাগডাঙ্গা গ্রামে পৌছে দেখেন বৈদ্যুতিক খুটিতে সংযুক্ত বিভিন্ন কোম্ধসঢ়;পানীর তিনটি ট্রন্সফরমার খোলা নীচে পড়ে আছে।

অথচ ট্রন্সফরমারের ভিতরে সুপার এনামেল কপার তার নেই। ২৪ অক্টোবর রাত ১০ টা থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ১০ টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত চোরেরা ট্রান্সফরমারে মধ্যে থাকা সুপার এনামেল কপার তার চুরি করে নিযে গেছে।

যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭ শ ১১ টাকা। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় সাজিয়ালি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ৭ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার দৌলতদিহি ক্লিনিক পাড়ার সাজ্জাদ হোসেন লাভলুর বাড়িতে হাজির হানা দেয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আল মামুন পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল মামুন চুরির কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে।