যারা নৌকার বিপক্ষে ভোট চাচ্ছেন তারা আ’লীগকে কোনদিন ভালবাসেনি

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, যারা মুজিব কোর্ট পরে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে আনারস প্রতীকের জন্য ভোট চাচ্ছেন তারা হচ্ছে নীতি হিনের নীতি তারা হচ্ছে ধ্বংসকারী এরা আমাদের মধ্যে থেকে কোন দিন আওয়ামীলীগকে ভালবাসেনি।

এরা আজ আমাদের মধ্যে থেকে বিএনপি জামাতের কাছে ভোট চাচ্ছে। এই বিবেকহীন মানুষ জানে আওয়ামী লীগের লোক তার আনারস প্রতীককে ভোট দিবেন না। আজ যে তরুন এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়েছিল সে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে নাই।

সে আজ নৌকার পক্ষে নির্বাচন করছে। এই হলো নৌকার সৈনিক। বিবেক বিসর্জন দিয়ে সে নির্বাচন না করে নৌকার জন্য আজ মাঠে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৪ টার সময় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর শাখারীপোতা মাদ্রাসায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান এর প্রচারণা অভিযানের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ।

এসময় প্রধান অতিথি মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে শার্শা উপজেলার এমন একটি ইউনিয়ন যে ইউনিয়নে বসবাস শিক্ষিত মার্জিত এবং সংস্কৃতি প্রিয় মানুষের বসবাস । সেই বাহাদুরপুর ইউনিয়নে অনেক আগে থেকে অনেক গুনী মানুষের জন্ম হয়েছে ।

আমরা যদি এই ইউনিয়নের তালিকা দেখি তবে আমরা এখানে দেখতে পাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এর পিতাও একজন চেয়ারম্যান ছিল। তিনি ও তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার একটি পরিচয় আছে। তবে এই মিজানুর রহমান ২০১৬ সালে যখন নির্বাচন করেছিলেন তখন আমি তাকে মনোনায়ন এনে দিয়েছিলাম

এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। এরপর তিনি চলে গিয়েছিল এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সাথে। আবার তিনি এই নির্বাচনে আফিল উদ্দিন এর নিকট থেকে আমার কাছে চলে এসেছেন। কারন আফিল উদ্দিন কোন দিন মিজানুর রহমানকে ভাল বাসতে পারেনি। তিনি আওয়ামীলীগকে ভাল বাসে না।

তিনি আওয়ামীলীগকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করতে চায়। গত এক সপ্তাহ আগে মিজানুর রহমান আমার কাছে সকল মান অভিমান ভুলে এসেছিল। তিনি আওয়ামীলীগের নৌকা পেয়েছেন আমি নৌকার একজন কর্মী হিসাবে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করছি। আমি দুই বার সংসদ নির্বাচনে মনোনায়ন চেয়েছিলাম।

আমি যদি আরো ২০ বার চেয়ে নৌকা প্রতীক যদি না পাই তবে আমি আমার এই আদর্শের প্রতীকের বিরুদ্ধে কোন দিন নির্বাচন করব না। আজ এই ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করতে যাচ্ছে মফিজ উদ্দিন। সে আওয়ামীলীগের এই ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ।

তার পদ পদবী আর থাকবে না। আজ আপনি নেত্রীর কাছে আনারস চেয়ে না পেয়ে আনারস নিয়ে মুজিব কোট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসাবে আমার শরীর ভালো থাকে, আমার মন ভালো থাকে আমাকে নৌকা প্রতীকের যে ডাকবে তার সাথে আমি ভোট যুদ্ধে মাঠে নামব।

আমি বিবেক বর্জিত লোক না। আপনারা জানেন এই ইাউনিয়নে লোক জানে কাকে ভোট দিলে তাদের সন্মান বাঁচবে। এই ইউনিয়নের মানুষ জানে কাকে ভোট দিলে তাদের মাথা নিচু করতে হবে ন। এই ইউনিয়নের মানুষ জানে শিক্ষিত মার্জিত একজন মানুষ মিজানুর রহমান।

আর একজন অশিক্ষিত বাহিনী প্রধান এই মফিজকে কেউ ভোট দিবে না। আজ আপনার জন্য হিন্দু পরিবাররা বাওড়ে নামতে পারে না। আর আপনি চান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনায়ন। এ অঞ্চলের মানুষ জানে হাট দখল বাওড় দখল বালু মহল দখল।

আর আপনি একজন মুর্খ লোক চেয়ারম্যান হতে চান। আপনি সে স্বপ্ন থেকে দুরে থাকেন। এখানকার মুক্তিযোদ্ধা সহ সকল পেশার মানুষ আছেন আপনরা বিবেচনা করবেন কাকে ভোট দিবেন। প্রধান অতিথি মেয়র লিটন আরো বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিল মিজানুর রহমান।

আর ক্ষমতা ভোগ করেছে মফিজ উদ্দিন। আজ সে হাওড়, বাওড় বালু তোলা নিয়ে ব্যস্ত। আর মিজানুর রহমান পিতার ১৫ বিঘা জমি পেয়েছিল মানুষের সেবা করতে এসে আজ আছে তার তিন বিঘা। আর মফিজ এর হয়েছে কোটি কোটি টাকার পাহাড়। তাই আপনি যাদের কাছে ভোট কিনতে চাচ্ছেন তারা আলু পটল না।

তারা নৌকা মার্কার স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক। আর যাই হোক টাকা দিয়ে তাদের ভোট ক্রয় করা যাবে না। তারা আর অসান্মানিত হতে চায় না। তারা চায় নৌকাকে বিজয় করতে। আজ বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য যে নেত্রী নিরলস পরিশ্রম করে বেড়াচ্ছেন আজ তার খেয়ে তার পরিচয়ে সেই নৌকাকে ফুটো করতে যাচ্ছেন তাদের বহিস্কার করা হবে।

তিনি ইউনিয়ন এর নেতা কর্মীর নিকট আওয়ামীলীগ, যুবলীগ , ছাত্রলীগ যারা নৌকার নির্বাচনে কাজ না করে আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করছেন তাদের তালিকা দিতে হবে। তাদের জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বহিস্কার করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক,

প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, বন ওপরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সরোয়ার,বাহাদুরপুর ইউনিয়ন সহ সভাপতি আব্দুল ওহাব, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ৯ নং ওয়ার্ড এর সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এনামুল হক মুকুল প্রমুখ।