কোভিড পরবর্তী বিশ্বে এককভাবে উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বায়নের নতুন যুগে বৈশ্বিক সমস্যাগুলো সমাধানে বিশ্বব্যাপী সংসদীয় অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক বিশ্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সকল দেশের মাঝে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও সংযোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘একাদশ এশিয়া-ইউরোপ পার্টনারশিপ পার্লামেন্টারি মিটিং (আসেপ-১১)’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, চীন প্রভৃতি দেশের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাষ্ট্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, কভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্ব সীমান্ত ছাড়িয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কর্মসংস্থান, জীবিকা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

কভিড পরবর্তী সংকটের মধ্যেও সকলের জন্য সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে ও সবুজ বিশ্ব নিশ্চিতকরণে বিনির্মাণে সংসদীয় অংশীদারিত্ব জরুরি।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কভিড পরবর্তী বিশ্বে এককভাবে কোনো দেশে উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়। সংলাপ, পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দারিদ্র্য, সম্পদের অসমতা, লিঙ্গভিত্তিক অসমতা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কোন দেশ এককভাবে মোকাবেলা করতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, কার্বন নিঃসরণ, মরুকরণ, জলবায়ু উদ্বাস্তু,

মাইগ্রেশন খাদ্যনিরাপত্তা, ব্লু ইকোনমি, সুপেয় পানির নিরাপত্তা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংসদ সদস্যদের সম্মিলিতভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে হবে।