বাঘারপাড়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামি নাজমুলের স্বীকারোক্তি

mamla rai

যশোরের বাঘারপাড়ায় রিক্তা খানম নামে এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলায় আটক নাজমুল ওরফে বান্দা আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার ২১ নভেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক জবানবন্দি গ্রহন শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নাজমুল বাঘারপাড়া উপজেলার ঠাকুরকাঠি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে।

ধর্ষনের শিকার নিহত রিক্তা খানম একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে। রিক্তা স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মক্তব ভিত্তিক শিশু শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায় ,নামজুল দির্ঘদিন নিজ এলাকার বাইরে ছিলেন। সেসময় তিনি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। নিজের উপর্জিত টাকা নাজমুলের বাবার কাছে জমা রাখতেন।

এরমাঝে নাজমুল গ্রামে ফিরে আসে ও গ্রামে এসে বিয়ে করে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে বাবার কাছে টাকা দাবি করেন। কিন্তু বাবা টাকা দিতে রাজি হননা। এরমধ্যে ২০১৯ সালে নাজমুলের মা মারা যায়।

পরে নাজমুলের বাবাকে বিয়ে দেয়ার জন্য নিহত রিক্তার বাবা মুক্তার হোসেন ঘটকালি শুরু করে। নাজমুল মুক্তারকে বাবার বিয়ে দিতে নিষেধ করেন। কিন্তু মুক্তার না শুনে গত শুক্রবার নাজমুলের বাবার দিয়ে দেয়।

এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সকালে মুক্তারের মেয়ে শিশু রিক্তাকে নিজের ঘরে নিয়ে আসে। পরে ধর্ষণ করে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে খাটের নিচে রেখে দেয়।

এদিকে, পুলিশ সূত্রজানায়, রিক্তাকে খুনের পর নাজমুল লাশ গুম করতে চেয়েছিলো। বাড়ির পাশে গর্ত খুড়েছিল। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নাজমুলের ঘর তল্লাসি করে রিক্তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা মুক্তার আলী বাঘারপাড়া থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নাজমুলকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, শনিবার সকাল থেকে তার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

অনেক খোজাখুজির পর সন্দেহ হলে নাজমুলকে তার বাড়ির পাশে গর্ত খুড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার চেহারায় অপরাধের চিহ্ন ভেসে ওঠে। সাথে সাথে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে নাজমুল।

এসময় অভিযুক্তর নিজ ঘরের খাটের নিচে বস্তার মধ্যে নিহত শিশুর লাশ পাওয়া যায়। পরে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় আসামীকে আটক করে পুলিশ।