সহিংসতা রোধে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরবর্তী ধাপগুলোতে সহিংসতা রোধে আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

আগারগাওয়ের নির্বাচন ভবনে বুধবার (২৪ অক্টোবর) আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই আচরণবিধি অনুসরণ করেন। দু’চার জন মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছেছে। তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্যে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অতীতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামীতেও প্রয়োজনে মামলা করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রথম দুই ধাপের ভোটে সহিংসতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো নির্বাচনী সহিংসতা রোধ করার জন্যে। একটাও সহিংস ঘটনা হবে না, মারামারি হবে না এমন নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না।

আমরা চেষ্টা করবো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে। তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় পাহারা দিয়ে সহিংসতা বন্ধ করা অসম্ভব। তাই নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

বৈঠকে আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সহিংসতা ঘটতে পারে এমন পকেটগুলো চিহ্নিত করে আগাম গোয়েন্দা তথ্য নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়ানো ও দায়িদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূক ব্যবস্থা নেয়ার জন্যেও বলা হয়েছে।

বৈঠকে শুরুতে সূচনা বক্তব্যে সিইসি আইন-শৃঙ্খল রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি দাবি করেন, সার্বিক অর্থে নির্বাচন সফল হয়েছে।