অশুভ শক্তিকে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়ে শুভ শক্তির উদয় করুন

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, মসজিদ থেকে আজান আসছে প্রতিটি মুসলমানকে নামাজের আহবান জানাচ্ছে । সে আহবান উপেক্ষা করে ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড ঘটালো। গর্জে উঠল ওদের হাতের অস্ত্র।

ঘাতকেরা সেদিন হত্যা করল স্বাধীনতার প্রাণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যুগে যুগে এ ধরনের বেইমান জন্ম নেয়, যাদের ক্ষমতালিপ্সা একেকটা জাতিকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়, ধ্বংস ডেকে আনে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খাকেই খুনিরা হত্যা করেছে।

বাঙালি জাতির চরম সর্বনাশ করেছে। এই নরপিশাচেরা হত্যা করল আমার মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা সহ গোটা পরিবারকে। এরকম খুনীদের প্রেতাত্মা তাদের দোসররা এখনো বাংলার মাটিতে আওয়ামীলীগের মধ্যে থেকে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করছে।

আপনারা দেখতে পারছেন শার্শার মাটিতেও এরকম একটি চক্র আজ বিএনপি জামাতের লোক নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করিয়েছে। ২৮ তারিখের নির্বাচনে আপনারা এই অশুভ শক্তিকে ব্যালটের মাধ্যেমে জবাব দিয়ে শুভ শক্তির উদায় করুন।

শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন প্রচারণায় কথাগুলো বললেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

শুক্রবার শার্শার লক্ষনপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারনায় প্রধান অতিথি মেয়র বলেন, বাঙ্গালী জাতি অনেক লড়াই সংগ্রাম করে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।

আর তার নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি বাঙ্গালী জাতিকে ভালবেসে, বাংলার মানুষের মুক্তির কথা ভেবে তিনি নিজ পরিবারের কথা না ভেবে বার বার তার যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় জেল খেটেছে সেই মহামানবকে আমরা হত্যা করলাম।

পৃথিবীর মানচিত্রে যে জাতি ছিল বীরের জাতি সেই জাতি বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্যে দিয়ে হয়ে গেল বেঈমানের জাতি। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।

আজ শার্শার মাটিতে যারা নৌকাকে ডুবানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র নানা কৌশল অবলম্বন করেছিল তারা এখন বুঝতে পারছে যে নৌকার বিরোধিতা করে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিযে আর মুজিব কোর্ট পরে ঘোরা যাবে না। অবধ শিশুর মতো দিশেহারা হয়েছে এই সকল দানব প্রজাতির লোকগুলি।

মেয়র লিটন বলেন, আজ যে লক্ষনপুর ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম তার স্বামীও এই ইউনিয়নের একজন সৎ আদর্শ নির্ভিক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মৃত্যুজনিত কারনে উপনির্বাচনে ২০১৬ সালে তার স্ত্রী এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিপুল ভোটের ব্যবধানে।

এই চেয়ারম্যান অন্তত আর যাই হোক কারো ঘাড়ে লাঠি মারতে পারবে না। সে সহজ সরল একজন মানুষ। কোন বাহিনী তৈরী করতে পারবে না। সে কোন অর্থ লুন্ঠন করতে পারবে না।

অর্থাৎ কারো অনিষ্টের কারন ও সে নয়। আর তার বিরুদ্ধে অর্থাৎ নৌকাকে পরাজিত করার জন্য ওই অদৃশ্য শক্তি বিএনপি থেকে আসা একজন লোককে দাঁড় করিয়েছে। আমার লজ্জা হয়, আমার ভাবতে কষ্ট হয় আপনি নৌকার খাচ্ছেন নৌকার প্রতীকের মাধ্যেমে সন্মানিত হয়েছেন আপনি এখন নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইন্ধন যোগাচ্ছেন ওই বিএনপি থেকে আসা লোকটিকে।

শার্শার আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীর মধ্যে যে, বিভেদ দ্বন্দ সংঘাত সৃষ্টি করেছেন তার জন্য দায়ি আপনি। আপনার মনে রাখতে হবে যত ষড়যন্ত্র যত মামলা হামলা দিয়ে আঘাত করেন না কেন শার্শা আওয়ামী লীগের রাজনীতি শার্শার আওয়ামী পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে তবেই আমি ক্ষান্ত হব।

মেয়র লিটন আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে স্বাক্ষর করে মনোনায়নপত্র দিয়েছেন শার্শা উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগমকে। আর আমরা সে নৌকা পাওয়াতে নিজেরা নৌকা প্রতীকের দল করে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছি এর জবাব আপনাদের দেওয়া হবে।

যুগে যুগে কালে কালে কোন ষড়যন্ত্র, কোন অপশক্তি টিকে থাকতে পারে নাই । আজ যারা এসব ষড়যন্ত্রতে লিপ্ত তারা সময় থাকতে অশুভ শক্তির হাত থেকে সরে এসে শুভ শক্তির সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করুন। কারন উন্নয়নের প্রতীক নৌকা, অহংকারের প্রতীক নৌকা, শান্তির প্রতীক নৌকা তাতেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, সাবেক লক্ষনপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হোসেন,

বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ড এর সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারা বেগম, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুল আলম সজল, সহ আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।