যশোরে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের ঘটনায় মামলা

কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর
কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর

যৌতুক না পেয়ে যশোর সদরের নারাঙ্গালী গ্রামে আসমা খাতুন নামে এক গৃহবধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর জখম ও খুন জখমের হুমকি প্রদানের অপরাধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

যশোর সদরের নারাঙ্গালী গ্রামের শেরআলী মোড়ের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় একজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামি হচ্ছে ওই গ্রামের মৃত বুলুর ছেলে আবেদ আলী (৩৫)। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদি জিয়াউর রহমান জিয়ার বোন আসমা খাতুনের (২৩) সাথে আবেদ আলীর ৪ বছর আগে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সংসার করাকালে আসমা খাতুনের কাছে বিভিন্ন সময় আবেদ আলী টাকা পয়সা দাবি করতো। টাকা পয়সা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আবেদ আলী, আসমাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতো।

আসমা কষ্ট সহ্য করে সংসার করার চেষ্টা করে। আসামি আবেদ গোপনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আসমা এ সব কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে তার কথায় কোন কর্নপাত করে না। বরং আবেদ ওই মহিলাকে বিয়ে করে আসমার উপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাংসারিক কাজ করাকালে এ সব বিষয় নিয়ে আবেদের সাথে আসমার কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আবেদ নারাঙ্গালী উত্তরপাড়ার হানেফ আলীর পুকুর পাড়ে আসমাকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ি নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আসমার হাতে, পায়ে,

ঘাড়ে ও উরুরে ধারালো চাকু দিয়ে ১২/১৩ টি কোপ মেরে রক্তাত্ত জখম করে। আসমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে আবেদ হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আসমাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই মাইদুল জানান, আবেদকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।