যশোরে কাকন হত্যা মামলায় আটক জিতুর আদালতে স্বীকারোক্তি

যশোরে তাঁতিলীগের আলোচিত নেতা আব্দুর রহমান কাঁকন হত্যা মামলায় সিআইডি পুলিশের হাতে আটক সন্দিগ্ধ আসামি শরিফুল ইসলাম জিতু আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সিআইডি’র পুলিশ সুপার জাকির হোসেন। হত্যাকান্ডের সাথে তিনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত বলে জবানবন্দিতে বলেছেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসেন তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম জিতু বলেছেন, ঘটনার রাতে তিনিসহ চার জন একটি রিকশায় করে বারান্দী মোল্লাপাড়ার কবরস্থান এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা মাদকাসক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া কবরস্থান মোড়ের জনৈক নারায়ণ ঘোষের চায়ের দোকানের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলার তাঁতিলীগের সদস্য সচিব আলোচিত কাঁকন।

এ ঘটনায় নিহতের মা সুফিয়া খাতুন ১৮ নভেম্বর অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। তবে কাঁকন খুনের সাথে মোল্লাপাড়া সিরাজুল ইসলাম সিরার ছেলে জিতুসহ ৪ জন জড়িত ছিলো বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয়।

অপর ৩ জন হচ্ছে, সাদ্দাম, সফি ও সনি। কিন্তু অভিযান চালালেও জিতু বা তার সঙ্গী কাউকে আটক করতে পারেনি কোতয়ালি থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় সিআইডি পুলিশ।

শুক্রবার তাকে কাঁকন হত্যা মামলায় আটক দেখিয়ে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হলে জিতু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।