স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় যশোরে দুই আসামির প্রবেশনে মুক্তি

mamla rai

স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় আদালদের বিজ্ঞ বিচারক যশোরে আলাদা দুই মামলায় এক নারীসহ দুই আসামির প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছে। ২৮ নভেম্বর রোববার যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস দু’জনকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দেন।

আসামিরা হলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালি গ্রামের নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী ও বেনাপোল বড় আঁচড়া গ্রামের ভাড়াটিয়া আয়েশা বেগম ও শার্শা উপজেলার টেংড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বক্সের ছেলে রহিম বক্স। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি এ্যাডভোকেট লতিফা ইয়াসমীন ও ভীমসেন দাস।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত ৯ টা ১০ মিনিটে আসামি আয়েশা বেগম বেনাপোল পোর্টথানা এলাকার বড় আঁচড়া গ্রামের নিজ ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে ১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০ টি খালি ফেনসিডিলের বোতলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়।

এঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ২৮ নভেম্বর রোববার আদালত সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তিদেন।

তার প্রতিবন্ধি সন্তান রয়েছে সেই সন্তানকে সঠিকভাবে লালনপালন, সাতটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই এবং প্রতিমাসে এলাকার একজন পথ শিশুকে আহারসহ ৯ শর্তে এক বছরের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দেন।

অন্যদিকে, ২০০৮ সালের ৯ আগস্ট বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে যশোর সদর উপজেলার ছোট মেঘলা গ্রাম থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ( ডিবি ) পুলিশের হাতে ২৪ বোতল ফেনসিডিল সহ রহিম বক্স আটক হয়।

এ ঘটনায় এ এসআই মোমরেজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ২৮ নভেম্বর রোববার এ মামলায় ১১ শর্তে এক বছরের জন্য প্রবেশনে মুক্তি দেয় আদালত। তার শর্ত গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পিতা মাতাকে নিয়মিত দেখাশোনা ও ভরণপোষন দিতে হবে।

লিগ্যাল এইড সেবা সম্পর্কে এলাকার অসহায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধহত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত দেখা শোনা করতে হবে। তিনমাস পরপর স্বেচ্ছায় রক্তদান করবেন ও নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বজ্রপাত নিরোধক তিনটি তাল ও দুইটি নারিকেল গাছ লাগাবেন।

এসময় প্রবেশন কর্মকর্তা এ.এন.এম সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুই আসামির সৎ ও শান্তিপূর্ন জীবন যাপন করতে হবে। কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়িনো যাবেনা। মাদকের সংস্পর্শে যাওয়া যাবেনা।

দেশত্যাগ করতে পারবে না ও ট্রাইবুন্যাল কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে তলব করলে যথা সময়ে হাজির হতে হবে। আদেশ অমান্য করলে সাজা ভোগ করতে বাধ্য থাকতে হবে।