বিজয়ের মাসে ৫জি যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ

বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ৫জি যুগে প্রবেশ করবে।

আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি ‍বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে ৫জি প্রযুক্তির সেবা পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করবেন।

বুধবার ১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘ফাইভজি : দ্য ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ শীর্ষক সেমিনারে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

১২ ডিসেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে ৫জি প্রযুক্তির সেবা পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি কার্যালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সীমিত পরিসরে ৫জি সেবা চালু হবে।

২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও শিল্প প্রতিষ্ঠান-নির্ভর এলাকায় বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৫জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকার ও এন্টারপ্রাইজ এবং ইউটিলিটি সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন ডিভাইস ব্যবহার করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা নিতে পারবে।

মুজিববর্ষে এটি একটি বিশাল উদ্যোগ। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত গুণগতমানের ভয়েস কল ও ৪জি থেকে ২০ গুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫জির মাধ্যমে চালক বিহীন গাড়ি চলবে রাস্তায়। ফাইভ জি চালু হলে কল ড্রপের সংখ্যা কমে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

মানুষ ও ডিভাইসের মধ্যে তৈরি হবে জিরো ডিসটেন্স কানেকটিভিটি। বিগডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে ৫জি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৫জি চালু হলে আমূল পরিবর্তন আসবে চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিংবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির এক্সপেরিয়েন্স নেওয়া ৫জির কল্যাণে আরো সহজ হয়ে যাবে। সূত্র : বাসস