ধানক্ষেতে খেলতে দিলেও ভালো খেলতে হবে

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বিস্তর। সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একবার মজার ছলে বলেছিলেন, মিরপুরের উইকেটে বল উঁচু হবে নাকি নিচু হবে, টার্ন করবে নাকি করবে না এসব বোলারও আন্দাজ করতে পারে না ব্যাটারও না।

পিচে পড়ার পর বল নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় কোন দিকে যাবে! রাত পোহালে এই মাঠেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই উইকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মুমিনুল হক বললেন, প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। ধানক্ষেতে নামিয়ে দিলেও খেলতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেট বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ।

উপমহাদেশের বাইরের দেশগুলোর বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট বানিয়ে সাফল্য ধরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় এসেছে এমন ছঁকেই।

কিন্তু একই ছঁকে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলে পড়তে হয়েছিল বিপদে। উপমহাদেশের দলগুলো স্পিনিং উইকেটে খেলেই অভ্যস্ত। ফলে স্পিনিং উইকেট বানানোর ছক খুব একটা কাজে আসে না।

পাকিস্তানও যেহেতু উপমহাদেশের দল ফলে উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে বাড়তি আগ্রহ। শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উইকেট প্রশ্নে মুমিনুল হক বলেন, উপমহাদেশের সবাই স্পিন ভালো খেলে।

তাদের বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট না করাটাই ভালো। সব দলই তা-ই করে। আমার কাছে মনে হয়, ফ্ল্যাট উইকেটই ভালো। আমার এটাই পছন্দ। মুমিনুল বলেন, মিরপুরের উইকেট আমরা সবাই জানি যে, বলা কঠিন…আমার কাছে মনে হয়, সাদা বলে একরকম উইকেট হয়, লাল বলে আরেকরকম।

সাদা বলে দুই পাশ থেকে নতুন বল থাকে, তখন বিভিন্ন কিছুর মুখোমুখি হতে হয় ব্যাটসম্যানদের। তবে লাল বল তো একটিই থাকে। আমার কাছে মনে হয়, সাদা বলের চেয়ে ভালো উইকেট হবে লাল বলে। তবে উইকেট যেমনই হোক না কেন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপত্তি তোলার সুযোগ নেই বললেন অধিনায়ক।

মুমিনুল বলেন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট বা এগুলো নিয়ে অজুহাত দেয়াটা কখনোই কাম্য নয়। আমিও এটার সঙ্গে একমত হই না। পেশাদার ক্রিকেটারদের যদি ধানক্ষেতেও দেন, ওখানেই ভালো খেলতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদার হলে আরও ভালো হয়।

সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল সকাল ১০টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা।