শার্শায় নিখোঁজের এক দিন পর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

যশোরের শার্শায় নিখোঁজের এক দিন পর বেতনা নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে নাসির মোল্লা (৪০) নামে এক চাউল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলার নারায়নপুর গ্রাম সংলগ্ন বেতনা নদী থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নাসির মোল্লা বরিশাল জেলার কেউতা গ্রামের জয়নুদ্দীন মোল্লার ছেলে।

সে স্ত্রী, তিন সন্তানকে নিয়ে শার্শা উপজেলার বৃত্তিবারিপোতা গ্রামে বসবাস করতেন। নারায়নপুর বাজারে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চাউলের ব্যবসা করে আসছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হয় নাসির মোল্লা নামের এই ব্যক্তি। এসময় সম্ভাব্য সব জায়গায় নাসির মোল্লার পরিবার খোঁজ খবর নিলেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে প্রশাসনের সরনাপন্ন হন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে নাসির উদ্দীন বেতনা নদী থেকে কচুরিপানা তোলার কাজ করছিলেন। কাজের যে কোন এক সময় তিনি পানির তলে ডুবে যান। তারপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসন সহ বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নির্ধারীত যায়গা পরিদর্শন করেন এবং খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে অবহিত করলে আজ সকালে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ১শত গজ দূরে কচুরিপানার তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

এসময় খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সাব অফিসার মোশাররফ হোসেন, টিম লিডার সাইদুল ইসলাম সহ বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বেনাপোল স্টেশন অফিসার রতন কুমার দেবনাথ বলেন, কাল এক ব্যক্তি বেতনা নদীতে ডুবে গেছে এমন যাওয়ার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খোঁজাখুঁজি চালায়।

না পেয়ে বিষয়টি খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে অবহিত করলে আজ সকালে তাদের সমন্বয়ে মাত্র ২৫ মিনিট তল্লাশি করে মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি পানিতে ডুবেই মৃত্যু বরণ করেছেন। হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি।