বাগআঁচড়ায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় আদালতে পৃথক দুটি মামলা

court jessore
ফাইল ছবি

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় সোমবার আদালতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। উপজেলার বসতপুর ২ নং কলোনির শাহাজান মিয়ার ছেলে রাসেল ও সলেমান ব্যাপারীর ছেলে ডা. আহম্মদ আলী এ মামলা দুটি করেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিযোগ দুটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মো. রাসেল ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামিরা হলেন, বসতপুর ২নং কলোনির আমিনুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান, আব্দুল করিমের ছেলে ইমরান, তার ছেলে মিঠুন, স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন, মমতাজের ছেলে নাসির ও বসির,

বাবুর আলীর ছেলে আনিছুর, নাসিরের স্ত্রী নুর নাহার, মিঠুনের স্ত্রী জেসমিন, আবু তালেবের স্ত্রী সুফিয়া, আব্দুল মান্নানের মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ও রুহুল আমিনের মেয়ে শাহানাজ।

মামলায় মো. রাসেল উল্লেখ করেছেন, গত ২৮ নভেম্বর বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আসামিরা এই নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুলের সমর্থক।

অপরদিকে রাসেল বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থক। নির্বাচনের ইলিয়াছ কবির বকুল পরাজিত হওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাসেলের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন।

এ সময় রাসেলের বোন জুলেখা ঘর থেকে বের হয়ে প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা জুলেখাকে টেনে হেঁচড়া করে বাড়ির সামনের রাস্তায় নিয়ে বেদম মারধর করেন। আসামি ইমরান তার শ্লীলতাহানি ঘটান। সবশেষে আসামিরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যান।

অপরদিকে ডা. আহম্মদ আলী ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, বসতপুর ২ নং কলোনির মমতাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন, বসির উদ্দিন, বাবুর আলীর ছেলে জামাল ও মনির, আব্দুল করিমের ছেলে ইমরান, আউয়ালের ছেলে জিয়ারুল, ইমরানের ছেলে মিঠুন ও রাকিব,

ওসমানের ছেলে জাহাঙ্গীর ও আক্তার, আইয়ুব আলীর ছেলে হুমায়ুন ও মিন্টু, সোনা মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন, কামরুজ্জামানের ছেলে মুন্না ও সাঈদ, মালেক ব্যাপারীর ছেলে ইমদাদুল, আবু তালেবের ছেলে আলামিন ও মামুন, মালেকের ছেলে রাসেল,

তমিজ উদ্দিনের ছেলে কামাল, সোনা মিয়া ফকিরের ছেলে আলাউদ্দিন, মৃত শামছেরের ছেলে রবিউল ইসলাম, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম সুজন ও আয়ুব আলীর ছেলে টিপু সুলতান।

মামলায় ডা. আহম্মদ আলী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা সকলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুলের কর্মী সমর্থক। অপরদিকে ডা. আহম্মদ আলী বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থক।

নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামিদের সাথে ডা. আহম্মদ আলীসহ তার পক্ষীয়দের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই আসামিরা ইলিয়াছ কবির বকুলের পক্ষ হয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন।

বেলা ১১টার দিকে ডা. আহম্মদসহ পাঁচ জন ২নং কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবার পথে কলোনির বাসিন্দা সোনা মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা অতর্কিত তাদের ওপর আক্রমণ করেন। তারা এ সময় তাদের বেধড়ক মারধর করেন। এমনকী তারা তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা লুট করে নেন।