দল ও দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে দলীয় নেতাকর্মীদের কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
শুক্রবার ১০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক বিজয়ী করার লক্ষে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এমন কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান রমজানের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে নৌকা বিজয়ী করার কোন বিকল্প নেই।
নৌকার বিরোধীতা করলে আজীনের মত বহিষ্কার করা হবে। চিরতরের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভাল। মীর জাফরদের চিরতরে উৎখান করা হবে।
নৌকা বিজয়ী হলে শেখ হাসিনা শক্তভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন। সারা বিশ্বে বাঙালি সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। কৃষক, শ্রমজীবী মানুষের সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন।
তাই শেখ হাসিনার সম্মানে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে। বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী,
ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক লুৎফুল কবীর বিজু, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দাউদ হোসেন দফাদার,
জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন মিঠু, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য তৌহিদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মুন্সি মহিউদ্দিন, সদস্য কামাল হোসেন, উপদেষ্টা সদস্য আবুল হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
বর্ধিত সভা থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান রমজান ও জাহাঙ্গীর হোসেন নৌকার পক্ষে সমর্থন জানান। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।