শৈলকূপার সারুটিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য

ঝিনাইদহের শৈলকূপার সারুটিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২টি খুন, ভাংচুর-লুটপাট, হামলা-মামলার ভয়ে এলাকা ছাড়া ভোটাররা।

পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। এমনকি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থীর নামে হত্যা মামলা হওয়ার ফলে এলাকা ছেড়েছে সেও। বিগত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর খুন হয় সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামের হারান। ঠিক তার পরদিন ১লা জানুয়ারি একই ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামে খুন হয় জসিম নামের এক যুবক।

নির্বাচনি সহিংসতায় এমন খুনোখুনি ছাড়াও ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ আর লুটপাট হয়ে দাড়িয়েছে প্রতিদিনের ঘটনা।নিহত ২ জনই নৌকা প্রার্থীর সমর্থক। তবে এসব খুনের পরপরই হয়নি মামলা। অভিযোগ উঠেছে খুনকে পূজি করে হুমকি আর মামলার ভয় দেখিয়ে ভোটার ধরার চেষ্টা করছে সরকারি দলের প্রার্থী।

নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, গত পরশু আমরা একটি মামলার প্রস্তুতি নিতেই আরেকটি খুনের ঘটনা ঘটে। তবে নির্বাচনে মানুষকে ভয় দেখানোর কিছু নাই। একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এলাকা এখন পুরুষ শূন্য ভোটার শূন্য হয়ে দাড়িয়েছে। আনারস প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ জনপ্রিয়তা হারিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নিজেরা খুনখারাবি করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। প্রথম খুনের ঘটনায় ৩ দিন পরে গতরাতে তাদের ১’শ ৯৭ জন কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপু বলেন,ইতোমধ্যেই এখানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুইটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ভোটারদের নানা রকমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এজন্য এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে গেছে। বিভিন্ন বাড়ি থেকে গরু-বাছুর থেকে শুরু করে নানান জিনিসপত্র নিয়মিত লুট করা হচ্ছে। হামলা মামলার ভয়ে কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রশাসন বলছে সতর্কতার মাত্রা আরও বাড়ানো হচ্ছে যাতে খুনোখুনি না হয়।

জেলা রিটার্নিং অফিসারও বলছেন পর্যপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে ভোটের দিনে।ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন,আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা জাতে না ঘটে তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

এরপরও প্রয়োজনে আরও পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হবে। এখন পর্যন্ত যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো নিয়ে তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের আমরা আইনের আওতায় আনব।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন,আমরা আশা করছি নির্বাচনের দিন বা নির্বাচন পরবর্তী কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটবেনা। আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেেই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।