যশোরে দুটি উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু

যশোরের ২টি উপজেলায় পঞ্চম ধাপে ২৬ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাত হতেই সকল প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রয়েছে।

সকাল হতেই ভোট কেন্দ্র গুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। ভোট কেন্দ্রের সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষায় যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন সহ নির্বিঘ্ন ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুুিত সম্পন্ন করেছে।

ইতিমধ্যেই ২টি উপজেলার ভোট ক্রেন্দ্র গুলোতে ভোট গ্রহনের নিমিত্তে সকল সরঞ্জাম পৌছে গেছে। ৫ জানুয়ারী যশোরের সদর ও কেশবপুর উপজেলায় সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহন চলবে।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ন কবীর জানান, যশোরের ১৫ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৪ লাখ ২১ হাজার ৭৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৫৮ জন, মহিলা ২ লাখ ৮হাজার ৯৭২ জন।

মোট ২১৫টি ভোট কেন্দ্রে ১৬৬টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এক সাথে।

দুই উপজেলার ইউপি নির্বাচনকে ঘীরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ফলে ভোট গ্রহণকে ঘীরে নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটাররা।

যশোর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে জানানো হয়, যে কোন মূল্যে তারা শান্তিপূর্ন ভোট উপহার দিবেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।

কেউ নির্বাচনী মাঠে অপতৎপরতা বা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড করার চেষ্ঠা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ২৬টি ইউনিয়নে ৯০০পুলিশ সদস্য, ৬৫৫ জন আনসার সদস্য কেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত থাকবে।

এ ছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান টিম , স্ট্রাকিং ফোর্স, মোবাইল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। ইতি মধ্যেই দুটি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ন ভোট কেন্দ্র গুলো চিহ্নিত করে সে এলাকায় পর্যাপ্ত প্রশসনিক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।