পঞ্চম ধাপে ৭১৪ ইউপিতে ভোট বুধবার

সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার পঞ্চম ধাপে দেশের ৭১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।

দেশের ৪৮টি জেলার ৯৬টি উপজেলার এসব ইউপিতে গত সোমবার রাতে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।

পঞ্চম ধাপে ভোটের আগেই একক প্রার্থী হিসেবে ৫২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে চেয়ারম্যান পদে ৬৬২টি ইউপিতে ভোট হবে। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩২ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১০৯ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই ধাপে মোট ১৯৩ জন ভোটের আগেই জনপ্রতিনিধি হয়ে গেছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে ৭১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ২০৭ জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে সাত হাজার ৮০৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ২৪ হাজার ৮৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশন জানায়, এই ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ হাজার ১০১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ৬৩৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮ হাজার ৩৩৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ১৮৬ জন।

সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজার ৪৮৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ১ হাজার ৪১৪ জন। আর বাছাইয়ের সময় তিন পদে ১ হাজার ৮৮৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

এর আগে প্রথম ধাপে ৭১ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৭৭ জন ও তৃতীয় ধাপে ১০০ জন এবং চতুর্থ ধাপে ৪৮ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য মিলিয়ে চলতি ইউপি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। চলতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে কিছুটা উদ্বেগও রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

আগের ধাপগুলোর মতো পঞ্চম ধাপের নির্বাচনকে সামনে রেখে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। সোমবার প্রচারের শেষ দিনেও বিভিন্ন এলাকায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভেঙে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। অনেকের আশঙ্কা, ভোটগ্রহণের দিন সহিংসতা ও অনিয়ম আরও ব্যাপক হতে পারে।

তবে নির্বাচনে চলমান সহিংসতা রোধে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সম্প্রতি এক পত্রে (ডিও) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।