ভারত থেকে ডিজেল কিনবে সরকার

জি-টু-জি পদ্ধতিতে ভারত থেকে জ্বালানি তেল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২২ সালের (জানুয়ারি-জুন) সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।

আলাদা দুটি প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানিসহ ১৩ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এতে মোট ব্যয় হবে ১০ হাজার ৭৯৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৮ টাকা। জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মেয়াদী চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশনকৃত বিভিন্ন দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান (পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত,

পেট্রোচায়না বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া ও ইউনিপেক চীন) থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৪ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৪১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারী লিমিটেড থেকে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

বুধবার ১২ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।

ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১০ হজার ৭৯৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ২৯৮ টাকা। এরমধ্যে সরকার ব্যয় করবে ৯ হাজার ৫৮৯ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৭৭ টাকা এবং ভারত থেকে ঋণ ১ হাজার ২০৫ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ২২১ টাকা।