স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারি পরিচয় দিয়ে করোনা সংক্রমনের নমুনা সংগ্রহ বাবদ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা পূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহরিয়ার হাসান সজিব নামে এক যুবকের নামে মামলা হয়েছে।
সে যশোর মিতালী আবাসিক এলাকা গাজীরঘাট রোড, পুরাতন কসবা, নতুন খয়েরতলার আব্দুস সাত্তার ও মোছাঃ হোসনে আরার ছেলে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় বুধবার ১২ জানুয়ারী সকালে মামলা হয়েছে।
মামলা করেছেন, ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর গ্রামের বর্তমানে শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড (বাসা নং ৬২৭) আরমান শফি হিমেল, ৫ম তলার বাড়ির তৃতীয় তলার ৩সি ভাড়াটিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া ইয়াসমিন। পুলিশ প্রতারক শাহরিয়ার হাসান সজিবকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
তানিয়া ইয়াসমিন মামলায় বলেন, গত ৪ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাদির ঘোপ নওয়াপাড়া রোডস্থ ভাড়া বাড়ি থেকে শাহরিয়ার হাসান সজিব নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের লোক পরিচয় দিয়ে বাদির কোভিড – ১৯ সংক্রমন সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ করে। সজিব বাদিকে বলেন ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট বাদির মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তানিয়া ইয়াসমিনের মোবাইলে কোন মেসেজ আসেনি। মেসেজ না পেয়ে বাদি সজিবকে ফোন করলে সজিব বিভিন্ন ভাবে তালবাহনা করে। এক পর্যায় ১০ জানুয়ারী সজিব বাদিকে একটি সার্টিফিকেট কপি প্রদান করে।
সজিবের দেয়া সার্টিফিকেট পেয়ে বাদির সন্দেহ হয়। এ বিষয়ে যাচাই করতে বাদি ১১ জানুয়ারি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা যাচাই করে সার্টিফিকেট সঠিক নয় বলে জানান।
৪ জানুয়ারি নমুনা সংগ্রহ করে রেজিষ্ট্রারে অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। সজিব নিজেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে বাদিসহ সাধারণ জনগনের কাছ থেকে করোনা-১৯ সংক্রমনের নমুনা বাবদ অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।
