হার্ট এটাকে প্রাণ গেলো মালদ্বীপ প্রবাসী সেলিম ভূঁইয়ার

প্রবাসে বাংলাদেশিদের মৃত্যু অনেকটাই নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। ভাগ্য বদলাতে দূর দেশে যান প্রবাসীরা। কিন্তু সবার ভাগ্য কি বদলায়!

অনেকে যান সপ্ন পরিবর্তন এর আশায় শার্ট প্যান্ট পরে কিন্তু ফিরে আসেন কফিন বন্দি হয়ে নিথর দেহ নিয়ে। প্রবাসে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর বড় একটি কারণ হতাশায় কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা,

অন্য আর একটি বড় কারণ হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মহামারী করোনাভাইরাস হানা দেবার পর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি এ রোগে মারা গেছেন।

তেমনই এক মালদ্বীপ প্রবাসী মোঃ সেলিম ভূঁইয়া গত ১৮ই জানুয়ারী কর্মরত অবস্থায় হঠাৎ করেই অসুস্থতা পিল হলে বাসায় পিরে যান কিন্তু বাসায় তার অবস্থার আরও অবনতি হলে রুমে থাকা সহকর্মীদের সহযোগিতায় হুলেমালে থ্রি-টপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে কর্মরত চিকিৎসক প্রথমিক চেক-আপ শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বিগত পাঁচ বছরে ধরে অনিয়মিত ডকুমেন্টারি হয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের হুলেমালে সিটিতে একটি খাবার রেস্তোরাঁয় কর্মরত ছিলেন। মৃত মোঃ সেলিম ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনার গাঁ উপজেলার সেকের হাট গ্ৰামে,

মোহাম্মদ আলী ভুঁইয়ার ২য় সন্তান, মাতা জাহানারা বেগম। মৃত সেলিম ভূঁইয়ার স্ত্রী এবং দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার পারিবারিক অবস্থা তেমন সচ্ছলতা না-থাকার কারণে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার এবং প্রবাসীদের সহযোগিতায় লাশ দেশে পাঠানোর সার্বিক প্রচেষ্টা চলছে।

বর্তমানে তার মৃত দেহ মালদ্বীপের মালে সিটির (IGMH) হাসপাতালের মর্গে আছে। দূর দেশে প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর দেশে পরিবারের কাছে নিশ্চয় অত্যন্ত বেদনার।

এমন কঠিন সময়ে মৃত ব্যক্তির পরিবার ঠিক করে উঠতে পারছেনা কিভাবে মরদেহ দেশে আনা যায়।আর্থিক সামর্থ্য না-থাকার কারণে তো মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার পরিবারের লোকজন।

পরিবারের সদস্যদের দাবি মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার এর সহযোগিতায়, বাংলাদেশ প্রবাস কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে পাঠানো সহ তার পরিবার কে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেন।

এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং মৃত মোঃ সেলিম ভূঁইয়ার স্ত্রী তার দুটি কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বিত্তশালীদের প্রতি সাহায্যের আকুল আবেদন করেন, 01706320228।