মালদ্বীপের কারাগারে প্রবাসীদের বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবা দিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস

চলমান করোনা মহামারীতে মালদ্বীপের সংকটাপন্ন অবস্থায় মানুষ যেমন কষ্টে আছে, এর চেয়েও বেশি কষ্টে আছে গৃহ, পরিবার আর স্বজন ছেড়ে আশা আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মালদ্বীপে প্রায় এক লাখেরও বেশী বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিক আছে।প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি এমন আছেন, যাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। অনেকেই আছেন মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা,অবৈধ অবস্থান পত্র কিংবা অনুমতিপত্র নাথাকার কারনে অবৈধ অভিবাসী আইনের বেড়াজালে পরেই বিভিন্ন কারাগারে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে আবার কেউবা আছে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে।
এই দুর্যোগ মহামারীতে কারাগারে শ্রমিকদের জন্য কিছু মৌলিক চাহিদা ও সহায়তার কিছুটার আশ্বাস মিললেও, নানান দুঃখ-দুর্দশা, হতাশা, লাঞ্ছনা-বঞ্চনা আর হয়রানিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে কারাগারে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন।এর বাইরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মালদ্বীপের কারাগারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে হাজারো বাংলাদেশী বন্দী।
আজ ছুটির দিনে দ্বীপরাষ্ট্রের মাফু’শি কারাগারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী বন্দিদের জন্য মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এর পক্ষ হতে পরিধেয় বস্ত্র ও চিকিৎসার জিনিসপত্র মালদ্বীপের কারেকশনাল সার্ভিসের নিকট হস্তান্তর করেন মিশনের প্রথম সচিব জনাব মোঃ সোহেল পারভেজ।
এসময় হাইকমিশনের ওয়েলফেয়ার এসিসটেন্ট ও কারেকশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। প্রথম সচিব মালদ্বীপের কারাগারে প্রবাসী বাংলাদেশী বন্দিদের বিষয়ে খোঁজ নেন এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বন্দিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য কারাকর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।