রামেক হাসপাতালে আরো ৫ জনের মৃত্যু

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই করোনা ইউনিটে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। এছাড়া করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দু’জনের বাড়ি রাজশাহীতে। অন্যজন নটোর জেলার বাসিন্দা।

এই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও দু’জন নারী। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। দু’জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং দু’জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে।

এদিকে, রামেক হাসপাতালের দৈনন্দিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ বাড়ায় আরও ৪২টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমানে ১০৪ থেকে বেড়ে এই ইউনিটের শয্যা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬টি। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে ভর্তি ছিলেন ৬৫ জন। এই ৬৫ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন ৩৯ জন।

করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ২৬ জন। আর ৬৫ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহী জেলার ৪৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাত জন, নওগাঁ জেলার তিন জন,

নাটোরের তিন জন, পাবনার চার জন, কুষ্টিয়া জেলার তিন জন, সিরাজগঞ্জের একজন, ঝিনাইদহের একজন ও বগুড়া জেলার একজন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে, গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৯২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১৫৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।