রমজানে আরো সক্রিয় হবে টিসিবি

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দেশীয় বাজারে একদিকে দাম বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে ফড়িয়া ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।

এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষের খেয়ে-পরে বাঁচা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আসন্ন রমজানে প্রান্তিক মানুষের সুবিধা দিতে চমক দেখাবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ। এ জন্য গত ঈদে প্রধানমন্ত্রীর নগদ শুভেচ্ছা উপহার পাওয়া ৩৮ লাখের বেশি তৃণমূলের মানুষের তালিকা কাজে লাগানো হবে।

মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা গতবার দুই হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এই তথ্য ব্যাংকের ডাটা ব্যবহার করে এবার প্রান্তিক পর্যায়ে টিসিবির সেবা পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

তালিকায় থাকা ৩৮ লাখের বেশি নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে মূল্যছাড়ের এই পণ্য পায় এ জন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকা টিসিবি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দেশে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব ভোগ্য পণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এ সময় প্রান্ত্রিক মানুষ সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ে।

এ ছাড়া উৎসব-পার্বণ এলে অতি মুনাফার লোভে বাজারে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এ অবস্থায় সামনে রমজানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে নড়েচড়ে বসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি রমজান উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টিসিবির পরিকল্পনা ও কৌশল বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ ভার্চুয়ালে দেশের ১০ জেলার জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনাকালে তৈরি করা ৩৮ লাখ ৫০ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের ডাটাবেইসকে টিসিবির পণ্য বিতরণে সুবিধাভোগী তালিকা হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এ ছাড়া ওই সব পরিবারকে রমজানে যাতে অন্তত দুইবার টিসিবির পণ্য দেওয়া যায়, এ জন্য কী পরিমাণ পণ্য লাগবে তার একটি প্রস্তাব পাঠাবে টিসিবি।

একই সঙ্গে টিসিবির গুদাম থেকে সব জেলার প্রশাসকদের নির্ধারিত গুদামে ১৫ দিন আগে পণ্য পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, আগামী রমজান সামনে রেখে টিসিবি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পণ্য চলে এসেছে। এ ছাড়া কিছু পণ্য পথে আছে।  তিনি বলেন, এবার গতবারের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি পণ্য সরবরাহ করা হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ।