এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলো জাপান

ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাজ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পূর্ব এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ জাপান।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এ নিষেধাজ্ঞা দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। কিশিদা জানান, জাপানে রাশিয়ার বন্ড ইস্যু করবেন না তিনি। একই সঙ্গে রাশিয়ার বেশ কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব ইউক্রেনে সেনা সমাবেশ করে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতির অবনতি হলে টোকিও আরও কিছু ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

এদিকে রাশিয়ার তৎপরতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দেয়ার এক দিন পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ইউক্রেনের রুশপন্থি অঞ্চলগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে তার দেশ।

তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবে ব্যাংক, পরিবহন, জ্বালানি, তেল, গ্যাস ও টেলিযোগাযোগ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে রাশিয়ার আট ব্যক্তির ওপর।

ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিইবি ও মিলিটারি ব্যাংকে এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ নিষেধাজ্ঞা দেন। তিনি বলেন, একটি দেশের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন পুতিন। তার জবাবে এটা নিষেধাজ্ঞার প্রথম ধাপ। আরও নিষেধাজ্ঞা আসবে।

রাশিয়া থেকে সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ‘নর্ড স্ট্রিম-টু’ পাইপলাইন প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিতে জার্মানিকে সহায়তা করা হবে জানিয়ে বাইডেন আরও বলেন, পশ্চিমা দেশ থেকে আর অর্থ উপার্জন করতে পারবে না রাশিয়া।

এর আগে রাশিয়ার তিন ব্যবসায়ী ও পাঁচ ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, নিজেদের পাশাপাশি মিত্রদের রক্ষায় প্রস্তুত তারা।