ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু স্থাপনার আগুন নেভানো হয়েছে

ইউক্রেনের জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াইয়ের সময় পরমাণু কমপ্লেক্সের একটি প্রশিক্ষণ ভবনে লাগা আগুন নিভানো সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনের ইমার্জেন্সি সার্ভিস এ খবর দিয়েছে।

ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে যে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে অগ্নিনির্বাপকরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

এর আগে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় সেখানে আগুন ধরে যায় এবং প্রায় এক ঘন্টা ধরে আগুন জ্বলে। ইমার্জেন্সি সার্ভিস দাবি করে, তাদেরকে আগুন নিভাতে বাধা দিয়েছে রাশিয়ান সেনারা।

জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, রাশিয়ার বোমা বর্ষণের কারণে এতে আগুন লেগেছে।

এর আশপাশে সংঘর্ষ থামানোর আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিগুলো ‘রোবাস্ট কন্টেইনমেন্ট স্ট্রাকচার’ দিয়ে সুরক্ষিত। সফলতার সঙ্গে চুল্লিগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম যিনি তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্র তদারকি করেন।

এক টুইটে গ্রানহোম বলেন, ইউএস নিউক্লিয়ার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তিনি বলেছেন, ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে রাশিয়ার সেনারা বেপরোয়া অপারেশন চালিয়েছে, অবশ্যই তা বন্ধ হতে হবে।

আজ (শুক্রবার) এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপকে পরমাণু বিপর্যয়ের ফলে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সেনাদের হামলার পর দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পনগরীর জেপোরোজিয়া পরমাণু বিদ্যৎকেন্দ্রে আগুন লেগে গেছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া ছাড়া আর কোনো দেশ পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা চালায় নি। আমাদের ইতিহাস ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা। সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি এখন পরমাণু সন্ত্রাস শুরু করেছে। পার্সটুডে