পশ্চিমারা ‘অর্থনৈতিক ডাকাতি’ করছে: রাশিয়া

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানো রাশিয়ার সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা ‘অর্থনৈতিক ডাকাতি’ শুরু করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই মন্তব্য করে বলেছেন, রুশ সরকার এর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

তবে সেই পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে সম্পর্কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র কিছু বলেননি। শুধু এটুকুই বলেছেন, রাশিয়ার স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিমিত্রি পেসকভের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে ব্রিটেন, ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

দিমিত্রি পেসকভ মন্তব্য করেন, রাশিয়া এত বড় এক দেশ যে, তাকে কখনই একঘরে করে রাখা যাবেনা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়েও বিশ্ব আকারে অনেক বড়।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গোলাবর্ষণ
ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। বেসামরিক লোকজন যেন নিরাপদে সরে যেতে পারে, সেজন্যই তারা এমন ঘোষণা দেয়।

তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মারিওপোল শহরে রুশ সেনারা গোলাবর্ষণ করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শহরটির ডেপুটি মেয়র বিবিসিকে জানিয়েছেন, মারিওপোলের ওপর এখনো রুশ সেনাদের গোলাবর্ষণ চলছে।

তারা বলছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করা হলেও রুশ পক্ষ তা পালন করছে না। তাই বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, শহরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে এবং নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিতে। কেননা বেসামরিক লোকজনকে যে পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তার শেষভাগে এখনো লড়াই চলছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রুশ সেনারা। রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে শনিবার ৫ মার্চ দশম দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। তাদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বহু বেসামরিক মানুষ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, যুদ্ধের দশম দিনে এরই মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে প্রায় ১২ লাখ মানুষ।