ইউক্রেন পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে সিরিয়ার কথা: এএফপি

মারিউপোল, চেরনিহিভ এবং খারকিভের মতো ইউক্রেনীয় শহরগুলোর ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ফিরিয়ে আনছে সিরিয়ার আলেপ্পো এবং চেচেনের রাজধানী গ্রোজনির রক্তক্ষয়ী হামলার পুরোনো স্মৃতিকে।

আলেপ্পো এবং গ্রোজনি– দুই শহরই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে।রুশ বিমান হামলার মাধ্যমেই সিরিয়ান সরকার ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আলেপ্পোর মূল বিদ্রোহী ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করে। ওই হামলার শেষ রক্তক্ষয়ী সপ্তাহে প্রাণ হারিয়েছিল ১,৮৬৭ জন মানুষ।

সিরিয়ার অর্থনৈতিক রাজধানী আলেপ্পো ছিল দুইভাবে বিভক্ত। পশ্চিমে ছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত জেলা এবং পূর্বদিকে ছিল বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর দখল নিতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে আসাদ সরকার। রাশিয়ান যুদ্ধবিমান আলেপ্পোর বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে উপর্যুপরি ব্যারেল বোমা,

গোলাবর্ষণ এবং রকেট হামলা চালাতে থাকে। ওই বছর ডিসেম্বরেই ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া আলেপ্পো সিরিয়া সরকারের পুরোপুরি দখলে আসে। রাশিয়া না থাকলে আলেপ্পোতে কিছুই ঘটন না বলে মন্তব্য করেছিলেন মস্কোর কার্নেগি সেন্টারের বিশ্লেষক আলেক্সি মালাশেঙ্কো।

সে সময় একটি আবেগপূর্ণ আবেদনে জাতিসংঘের তৎকালীন মার্কিন দূত সামান্থা পাওয়ার বাশার আল আসাদ এবং তার সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা কী সত্যিই লজ্জা পেতে অক্ষম?

কেবল আলেপ্পো নয়, রুশ হামলার ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছে ককেশাসের একটি ছোট প্রজাতন্ত্র চেচনিয়াও। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দুই দফায় লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে চেচেনদের।

প্রথম দফায় রুশ বাহিনী তেমন সুবিধা করতে না পারলেও পুতিনের নির্দেশে ১৯৯৯-২০০০ সালে রুশ বাহিনীর আর্টিলারি ও বিমান হামলায় একেবারে গুঁড়িয়ে যায় চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি। সূত্র: এএফপি