আমি গুম হলে বা মরে গেলে ইলিয়াস দায়ী থাকবে: সুবাহ

নবাবাগত নায়িকা শাহ হুমায়রা সুবহা সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।

বিয়ের কিছুদিন পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবহা। একইভাবে ইলিয়াসও সুবহার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।

এদিকে বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এসে সুবাহর নামে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন ইলিয়াস। সেখানে এই গায়ক বলেন, এর আগেও সুবাহর একটি বিয়ে হয়েছিল।

সুবাহর আগের স্বামীর নাম মো. ইয়াসির আরাফাত। এরপরেও আমাকে বিয়ের সময় কাবিননামায় সুবাহ নিজেকে কুমারী উল্লেখ করে। সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

তবে ইলিয়াসের এই অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করলেন সুবাহ। তিনি বলেন, আমার যদি আগে বিয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আগের বিয়ের কাবিননামা আছে?

রেজিস্ট্রির কাগজ ছাড়া তো বিয়ে হওয়ার কথা না। এইসব উল্টাপাল্টা মিথ্যা ছড়িয়ে সে আমার দেয়া মামলা গুলো থেকে বাঁচতে চাচ্ছে, যেন আমি মামলা তুলে নেই এবং দেনমোহরের টাকা না দেয়ার ফন্দি করছে।

সুবাহ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নিজেই আমার আগে তিন, চারটা বিয়ে করেছে। সে সব বউদের কাছ থেকে ডলার এবং টাকা চাইত। তার প্রথম বউ আমেরিকা প্রবাসী নিশাত তাবাসসুম আলম এক কথা বলছে সবখানে।

সুইডেনে তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তারাও বলেছে তাদের থেকেও ইলিয়াস বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা চাইতো। সব রেকর্ডগুলো আমার কাছে আছে।

ইলিয়াসকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করার ব্যাপারে সুবাহ বলেন, আমার আগে আরও তিন বিয়ে করা পুরুষকে আমি কিভাবে ফাঁসিয়ে বিয়ে করব? তাও এত কম টাকা কাবিনে দেনমহরে? যদি ফাঁসিয়ে বিয়ে করতাম তাহলে দেনমোহর থাকতো ৭৭ লাখ টাকা।

এখন মাত্র ৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা থাকতো না আমার কাছে। সে দোষী না নির্দোষ সেটার আদালতে প্রমাণ হবে ইনশাআল্লাহ।  ইলিয়াস নাকি ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে উল্লেখ করে সুবাহ বলেন, আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বা আমি মরে যাই বা গুম হয়ে যাই বা হারিয়ে যাই

এর জন্য ইলিয়াস হোসেন এবং ইলিয়াস হোসেনের পুরো পরিবার দায়ী থাকবে। আমাকে সে সবসময় ভয়-ভীতি, বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং সামাজিকভাবে হেয় করছে। আমি অনেক ভেঙে পড়েছি।