ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। কিছুদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এবার তার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
দিমিত্র পেসকভের কাছে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োগ নিয়ে রূপরেখাও রয়েছে।
কখন, কী অবস্থায় এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে। আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়লে রুপরেখা অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইউক্রেনের সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আমাদের পথে বাধা হবে বা আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য হুমকি তৈরি করবে, তাদের জানা উচিত,
আমাদের জবাব হবে তাৎক্ষনিক। তাদের পরিণতি এমন হবে, যা তারা তাদের ইতিহাসে দেখেনি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
ইউক্রেনে পুতিন তার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, এখনো পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। তবে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিকভাবে এগোচ্ছে এবং উদ্দেশ্য আগে থেকেই স্থির হয়ে আছে।
আমরা ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করতে চাই, একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ, সেটি ইউক্রেনকে মেনে নিতে হবে। একই সঙ্গে লুহানস্ক ও দোনেত্স্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
তিনি দাবি করেন, রাশিয়া এখন পর্যন্ত শুধু ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এদিকে পুতিনের মুখপাত্রের বক্তব্যকে বিপজ্জনক ও বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। একটি পরমাণু ক্ষমতাধর দেশের আচরণ এমন হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি।