সত্য না বলতে পারলে চুপ থাকুন, মিথ্যা বলবেন না

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যদি সত্য প্রকাশের সাহস না থাকে, তাহলে মিথ্যা বলবেন না। সত্য লিখতে না পারলে অন্তত হলুদ সাংবাদিকতা করবেন না, মিথ্যা লিখবেন না।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, আমার লজ্জা লাগে যে লোকটা দেশটা স্বাধীন করেছিল, সেই বঙ্গবন্ধুকে ব্রিটিশরা পাকিস্তানিরা হত্যার সাহস পায়নি তাদেরকে আমরা পুরো বংশসহ হত্যা করেছি।

আমি দলকানা রাজনীতিবিদ না। আমি একটা জিনিস বুঝি, ভালোকে ভালো, আর খারাপকে খারাপ বলব আওয়ামী লীগ করে দেখে সবাই ভালো আর অন্য দল করে দেখে সবাই খারাপ তা না।

ভালো মানুষের এখন বড় অভাব। একটা সময় ছিল রাজনীতি মানে মানুষ তাকিয়ে দেখতো কে রাজনীতিবিদ। তাকে সম্মান করে সালাম দিত। এখন ভয়ে মানুষ সালাম দেয়। তবে সবাই এক না।

তিনি বলেন, আমি বলি না নিজে পারফেক্ট, কেউ পারফেক্ট না। আমার পরে হাল ধরবে তোমরা। তোমাদের কপাল ভালো আমাদেরও ভালো একজন মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এদেশে শেখ হাসিনা। তিনি এদেশের সম্পদ।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মা-বাবার প্রতি সবার আগে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতে তোমরা সবদিক থেকে উন্নতি করতে পারবে, সফলতা পাবে।

মা বাবার-দোয়া সবচেয়ে বড়। মা-বাবা কী জিনিসড়- এটা চলে যাবার আগে কেউ টের পায় না। মা-বাবা টাকা পয়সা চায় না, ভালোবাসা চায়। খুশির কোন সংজ্ঞা নেই।

তিনি আরও বলেন, অনেকে বলে আমার নাকি রাগ কমে গেছে। আসলে তা না, ধৈর্য বেড়েছে। অনেকে গালি দেয়, আমার গায়ে লাগে না। কাক তো কা কা করে, আবার ওড়েও, তাকে কি কেউ পাখি বলে?

কাউয়া বলে আমাদের নারায়ণগঞ্জের মানুষ। কোকিল যখন ডাকে তখন মানুষের মনে আওয়াজ বাজে, শ্রতিমধুর লাগে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে বসে যারা গেল খেলার চেষ্টা করেছে সাবধান,

আমার ধৈর্য বেড়েছে, কিন্ত আমাকে যারা ভালোবাসে তারা কিন্তু তেমনই আছে। শামীম ওসমান বলেন, সামনে কঠিন সময় আসছে। রাজনীতি মুহূর্তে মুহূর্তে বদলাচ্ছে। বিশ্বে অস্থিরতা, যুদ্ধ চলছে।

স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে এক হতে হবে। আঘাত আসবে এই শক্তিকে শেষ করতে। আমি শেখ হাসিনার জন্য তোমাদের কাছে দোয়া চাই। তার জন্য আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

থানায় থানায় ইউনিয়নে ইউনিয়নে মোস্তাকরা জন্ম নেয়, খায় দলেরটা আবার দলের বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি বলেন, শামীম ওসমান ১ পয়সাও হারাম খায় না। আমি ২০০১ সালের পর যখন দেশ ছেড়েছিলাম,

আমার বড় ভাই আমার হাত ধরে কান্না করে বলেছিলেন, টাকা নাও, দোকানটা কিনে নাও। আমি নিইনি, দেশের বাইরে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি। পিঠের চামড়া উঠে গেছে। এখন একজনের পিছে একজন আরেকজন লেগে আছে। সামনে সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে।