আফগানিস্তানে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক

world bank

আফগানিস্তানে চলমান চারটি প্রজেক্টে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এতে ৬০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের প্রজেক্টগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। মাধ্যমিকে মেয়েদের পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই বিশ্বব্যাংক থেকে এমন দুঃসংবাদ শুনল তালেবান সরকার।

বিশ্বব্যাংকের চলমান প্রজেক্টগুলো ছিল মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতভিত্তিক।

শুরুতেই বিশ্বব্যাংক তাদের একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, মেয়েরা যাতে প্রজেক্টগুলো থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা পায় সেদিকে আমাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা বলে, আপাতত আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো মেয়েদের জন্য বন্ধ থাকবে।

শরিয়া আইন অনুযায়ী আমরা তাদের জন্য বিদ্যালয়ের পোশাক ঠিক করে দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই অবস্থা বলবৎ থাকবে।

সরকার কর্তৃক এই ঘোষণার পরপরই চলতি সপ্তাহের শনিবার (২৬ মার্চ) দেশটির নারীরা কাবুলের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সরকারের এই ঘোষণায় বিশ্বের অন্য দেশগুলো তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাংকের মূল লক্ষ্য ছিল, নারী-পুরুষের সমতা রক্ষা করা। তালেবানের এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্বব্যাংকের মূল লক্ষ্য।

এর আগে চলতি মাসে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডে ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ আফগানিস্তানে ১ বিলিয়ন ডলার অর্থসহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয় বিশ্বব্যাংক।

এই বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারকে না দিয়ে জাতিসংঘ ও আফগানিস্তানে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক ১ মার্চ তাদের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, শুরুতেই আমরা আফগানিস্তান রিকন্সট্রাকশন ট্রাস্ট ফান্ডে (এআরটিএফ) অর্থায়নের কথা ভাবছি।

এই অর্থ বরাদ্দের ফলে দেশটির কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্টে অর্থ বরাদ্দ বন্ধের ঘোষণার আগেই যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সরকারের সঙ্গে তাদের পুনর্নির্ধারিত মিটিং বাতিল করে দেয়। মিটিংটি কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এ ছাড়াও চলতি সপ্তাহের শুক্রবার (২৫ মার্চ) তালেবানের নেওয়া সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ১০টি দেশ। সূত্র: বিবিসি