ইউক্রেনে হামলা দ্বিগুণ করতে রুশ সেনারা পুনর্গঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছে ন্যাটো। সামরিক জোট ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ এই দাবি করেন।
সেনা প্রত্যাহরের ঘোষণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে না। তারা মূলত হামলা দ্বিগুণ করতে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এই সুযোগে তারা পুনর্গঠিত, পুনরায় রসদ সংগ্রহ ও পুনঃশক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে। এদিকে, যুক্তরাজ্য দাবি করেছে, ইউক্রেনে শক্তি বৃদ্ধি করতে জর্জিয়া থেকে এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার সেনা আনছে রাশিয়া।
রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করেন স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা শহরগুলোতে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ দেখতে পাচ্ছি।
আমরা দেখতে পাচ্ছি যে রাশিয়া কিছু সৈন্যকে পুনঃস্থাপন করছে, তাদের কিছুকে আশেপাশে সরিয়ে নিচ্ছে, সম্ভবত ডোনবাস অঞ্চলে তাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।
একই সময়ে, রাশিয়া কিয়েভ এবং অন্যান্য শহরগুলোর উপর চাপ বজায় রাখবে। তাই আমরা বলতে পারি- অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রাশিয়া, যা আরও বেশি দুর্ভোগ বয়ে আনবে, যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, এর আশেপাশের এলাকা ও চেরনিহিভ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
বরং দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস এলাকায় বেশি নজর দেওয়ার কথা বলে রুশ কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া।
এরপর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে শুক্রবার ৩৭তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান।
এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করে যাচ্ছে ইউক্রেন। সূত্র: বিবিসি