যশোরে শাবলের আঘাতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

mamla rai

যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়ায় প্রতিপক্ষের শাবলের আঘাতে বৃদ্ধ আব্দুর রহমান হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম মনির (৩৫) সোমবার (১১ এপ্রিল) ৬ জনের নাম উল্লেখ
করে মামলাটি করেন। পুলিশ এই মামলায় মামা-ভাগ্নেকে আটক করেছে।

আটক দুইজন সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা হলো, আড়পাড়া গ্রামের ইউনুস দফাদারের দুই ছেলে মফিজুর রহমান মফি (৪৮) ও আজিজুর রহমান আজি (৫২), মফিজুরের ছেলে ইসমাইলে হোসেন (২৬), শরিফুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৯), আজিজুর রহমান আজির ছেলে মাসুম (২২) ও মফিজুর রহমানের আরেক ছেলে মোহাম্মদ মামুন (২১)।

এজাহারে মনিরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তাদের জামির পাশে আসামিদের জমি রয়েছে। তাদের দুই শতক জনি নিয়ে আসামিদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। গত রোববার দুপুর ৪টার দিকে আসামিরা তাদের বাড়ির মধ্যে ঢোকে এবং তার পিতা আব্দুর রহমানেরসাথে তর্কবিতর্ক করে।

এ সময় আসামিরা শাবল দিয়ে তার পিতাকে মারপিট করে। এতে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামি ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তার পিতাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পিতা আব্দুর
রহমানকে মৃত ষোষণা করেন।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজিব জানিয়েছেন, মামলা হওয়ার পর এই মামলার দুই আসামি মফিজুর রহমান ও তার ভাগ্নে শরিফুল ইসলামকে সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক ভাবে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

তারা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, জমি নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা দুইজনই আব্দুর রহমানের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি মারা যান।