শাশুড়ি ও ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যায় জামাইকে মৃত্যুদণ্ড

mamla rai

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে শাশুড়ি ও তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় জামাই আজাদ মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।

৮ বছর পর বুধবার গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রান্ত আসামি হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের চর মানিকদাহ গ্রামের বেলায়েত মোল্যার ছেলে আজাদ মোল্যা (৫০)।

নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী ফুরিয়া বেগম (৭০), তার তিন নাতি তামিম (৭), আমিনুর সরদার (১৪) ও তনীমা (৬)। তারা নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।

২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল (শনিবার) গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত ফুরিয়া বেগমের বড় মেয়ের সরিফা বেগমের স্বামী আজাদ মোল্যার সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে স্ত্রী সরিফাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় আজাদ।

এ সময় ওই আগুনে পুড়ে শাশুড়ি ফুরিয়া বেগম, আজাদের স্ত্রীর বোনের ছেলে আমিনুর ও তামিম ঘটনাস্থলে এবং গোপালগঞ্জ হাসপাতালে বোনের মেয়ে তনীমা মারা যায়। এ ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল ২০১৪ মৃত ফুরিয়া বেগমের ছেলে সাইফুল গাজী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজাদ মোল্যাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আজাদ মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এপিপি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান পিটু, এপিপি অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান খোকন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন।

সাক্ষীরা সবাই আসামির পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ রায় আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়নি। এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আসামির পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।