নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না: গয়েশ্বর

Goyessor Ray

নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, আসুন রাষ্ট্রটাকে মেরামত করি। নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে, একশ বার যাবে। এর বাইরে কোনো নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। সেই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

রোববার আশুলিয়ার জিরাবোতে আশুলিয়া ও সাভার থানা এবং সাভার পৌরসভার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি ঢাকা জেলার সভাপতি ডা. দেয়ার মো. সালাউদ্দিন।

সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা এতদিন আমরা বলতাম, এখন দেশ ও বিদেশে সবাই বলে।

এই সরকারের লুটপাট, মুদ্রাপাচার, নারীপাচার, মরা মানুষের নামে মামলা, বিদেশে যারা থাকে, তাদের নামে মামলা, আরও কত কী। মরা মানুষ অথবা বিদেশে থাকা মানুষদের নামে যারা মামলা দেয়,

তারা কী পড়াশোনা জানেন না? এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিলে ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগে না তারা তা বোঝেন না? যিনি মামলাটা করেন, তাকে কী পরে পাওয়া যাবে না? আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মী তাদের সবাই চেনেন। যারা এই মিথ্যা মামলা দেন, সরকার গেলেও তো তারা চাকরি করবেন?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, আর জনগণের ওপর জুলুম করবেন না। রাজনৈতিক দলের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করবেন না। জনগণের টাকায় কেনা গুলি জনগণের বুকে মারবেন না। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধ করে পরাজিত করেছি। মেজর জিয়াউর রহমান সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, ছাত্র, যুবক সবাই মিলে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। আসুন আবার সবাই মিলে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি এবং দেশটাকে সত্যিকারভাবে স্বাধীন করি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আসুন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করি, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি। তাহলেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের জনগণ মুক্ত হবে।