থানা ভবন করতে বিকল্প জায়গা খুঁজতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

asadujaman khan kamal
ফাইল ছবি

থানা ভবন করার জন্য রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ বাদ দিয়ে বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজে ঈদ সামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

গতকাল রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় সৈয়দা রত্না নামে এক নারী ও তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ।

এদিন সকালে সৈয়দা রত্না মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করছিলেন। লাইভ দেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের মুক্তির দাবিতে কলাবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দা, মানবাধিকারকর্মী ও উদীচীর নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ‘হে পুলিশ আমার মা কই’, ‘পুলিশ আমার বোন কোথায়’, ‘পুলিশ আমার ভাই কোথায়’, ‘মাঠ দখল করে থানা চাই না’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রতিবাদকারী মা সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে ইসা আব্দুল্লাহ সাদেকিন পিয়াংশুককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে।

কলাবাগানের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তেঁতুলতলা মাঠের এক বিঘা জমি একজন বিহারির মালিকানায় ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর তিনি আর দেশে ফেরেননি।

সেই জায়গাটিতে স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করত। সরকারি খাসজমি হিসেবে নথিভুক্ত এই ফাঁকা জায়গাটিতে থানা করতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এরপর থেকেই সেই জায়গাটি খেলাধুলার জন্য ফাঁকা রাখার দাবি উঠেছে। সৈয়দা রত্নার মেয়ে শেউতি শাহগুফতা বলেন, গতকাল রাত ১টার দিকে মাঠে ট্রাক নিয়ে আসে ইট, সুড়কি ফেলার জন্য।

সকাল থেকে মাঠে ইট, সুড়কি ফেলা শুরু হয়। আম্মু সকাল ১০টার দিকে বের হয়ে মাঠের এখান থেকে একটা ফেসবুক লাইভ করেন। তখন এক কথা দুই কথায় পুলিশ মাকে ধরে পুলিশ ভ্যানে ওঠায়।

সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে আমার ছোট ভাই ঈসা আব্দুল্লাহ আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, আম্মুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। একথা বলে সে ফোন কেটে দেয়। আমি তাকে ফোন ব্যাক করলে ও বলে, বুবু আমাকেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।