ইলন মাস্কের রকেটে মহাকাশে গেলেন নাসার চার মহাকাশচারী

বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স-এর রকেটে করে মহাকাশে গেলেন নাসার চার মহাকাশচারী। ছয় মাস তারা মহাকাশকেন্দ্রে কাজ করবেন।

স্পেসএক্সের এই রকেট ছিল অত্যন্ত দ্রুতগতির। এই রকেটকে বলা হচ্ছে, মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুতগতির মধ্যে অন্যতম। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরুর পর ১৬ ঘণ্টার কম সময়ে তা আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্র (আইএসএস)-এ পৌঁছে যায়।

নাসা জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অটোমেটেড ডকিংয়ের স্পেসএক্স রকেটের মধ্যে এটি সবচেয়ে দ্রুতগতির। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার মহাকাশচারীদের মহাকাশকেন্দ্রে পৌঁছে দিল।

এর আগে একজন মহাকাশচারীকে পৌঁছে দিয়েছে তারা। তবে নাসার ক্ষেত্রে চারজন মহাকাশচারী ছিলেন। তিনজন আমেরিকার ও একজন ইতালির। ৪০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইবার উড়েছে স্পেসএক্সের রকেট।

কী করবেন মহাকাশচারীরা?

মহাকাশচারীরা ছয় মাস ধরে কয়েকশ’ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করবেন। তারা দেখার চেষ্টা করবেন, মাটি ছাড়া মহাশূ্ন্যে কোনও বৃদ্ধি সম্ভব কি না।

এছাড়াও তারা আইএসএসের মাইক্রোগ্র্যাভিটির পরিবেশে কৃত্রিম রেটিনার উদ্ভাবন সম্ভব কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবেন। নাসার বিজ্ঞানী হেইডি প্যারিস বলেছেন, যদি কৃত্রিম রেটিনার উদ্ভাবন সম্ভব হয়, তাহলে লাখ লাখ মানুষ, যারা রেটিনার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের স্বাভিবিক দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।

মহাকাশচারীদের মধ্যে আছেন জেসিকা ওয়াটকিনস, তিনি প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী, যিনি দীর্ঘ সময়ের জন্য আইএসএসে গেলেন। আইএসএস হওয়ার পর মাত্র সাতজন কৃষ্ণাঙ্গ সেখানে গেছেন।

স্পেসএক্সে নাসার চার নম্বর

এই নিয়ে নাসা চারবার স্পেসএক্সের সাহায্যে তাদের মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠালো। ২০২০ সাল থেকে নাসা স্পেসএক্সের স্পেস ট্যাক্সিতে করে মহাকাশচারীদের পাঠাচ্ছে। ইলন মাস্কের কোম্পানি এ নিয়ে ছয়বার মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠালো।

মহাকাশকেন্দ্রে এখন তিনজন আমেরিকান, একজন জার্মান ও তিনজন রাশিয়ার বিজ্ঞানী আছেন। তিন আমেরিকান ও একজন জার্মান বিজ্ঞানীর মিশন মে মাসের গোড়ায় শেষ হবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে