যশোরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় মামলা 

কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর
কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যশোর সদরের খাজুরা গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট করে সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

শুক্রবার ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে আব্দুল খালেক মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে খাজুরা গ্রামের আবুল কাশেম (৫০) কামাল হোসেন (৩০) শাহাজাহান (৬০) আনসার আলী (৫৫) ইমন (২৫) বাচ্চু (৪০) ও রানু বেগম (৪৫)।

আসামিদের মধ্যে কামাল হোসেনকে পুলিশ আটক করে। মামলায় বলা হয়েছে, আসামিদের স্থানীয় জনশ্রুতি ভালো না। আসামিরা পর সম্পদ লোভি। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের দরে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বাদির পরিবারের লোকজনকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো।

এরাই ধারাবাহিকতায় আসামিরা ৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে বাদির বাড়িতে দেশিয় অস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড, বাশের লাঠি নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে জমি দখলের চেষ্টা করে। বাদি ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে আসামিরা বাদি আব্দুল খালেকে অকথ্র ভাষায় গালিগালাচ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।

এতে বাদির গুরুত্বর জখম হয়। বাদির স্ত্রী নাসিমা বেগম, ছেলে আব্দুর রহমান ছেলের বউ ফারহানা আক্তার ঠেকাতে গেলে আসামিরা তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। আসামিরা বাদির স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ছেলের বউ ফারহানা আক্তারের পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়।

স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ছেলে আব্দুর রহমানের গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। স্ত্রীর গলা থেকে ৮ আনা ওজনের সোনার চেন ও ছেলের বউয়ের একটি টাচ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বাদি আব্দুল খালেকের চিৎকারে স্তানীয়রা ইেগয়ে গেলে আসামিরা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় আব্দুল খালেক কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলার এজাহার ভুক্ত ২নং আসামি কামাল হোসেনেকে ৫ শুক্রবার সকালে খাজুরার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।