কেশেবপুরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মামলা

ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যশোরের কেশেবপুর পাইলট বালকিা বিদ্যালয়রে দুই শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন মাহমুদুল হাসান। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই)’র ওপর তদন্ত ভার ন্যাস্ত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ফারুক হোসেন জাকারিয়া, সহকারী শিক্ষক সালা উদ্দিন ও ভালুকঘর গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আজিজুর রহমান।

মামলার আইনজীবী এ্যাডভোকেট আমজেদ হোসেন জানান, আসমিরা যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে মাহমুদুল হাসানকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা সরকারি পঙ্গু হাসপাতালে ওয়ার্ডবয়ের চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এই অভিযোগে মামলা দায়েরের করা হয়েছে। মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের বিতর্কিত সহকারী শিক্ষক বহু অপকর্মের মূল হোতা ফারুক হোসেন জাকারিয়া এবং সালাউদ্দিন গত ২০২০ সালের ২৭ ফ্রেব্রয়ারী তার বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি পঙ্গু হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়ের চাকরি দেয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করে।

১নং আসামি ফারুক হোসেন জাকারিয়া তার প্রতিবেশী হওয়ায় সরল বিশ্বাসে সরকারি চাকরির পাওয়ার আশায় সহায় সম্বল বিক্রি টাকা প্রদান করি। এরপর ২০২০ সালের ১ মার্চ তারা বিমানযোগে আমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।

পরে তারা একটি লিমিটেড কোম্পানির ভুয়া নিয়োগ পত্র আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তারা ঢাকা থেকে সটকে পড়ে। তিনি আরো জানান, পরদিন উক্ত নিয়োগ পত্র নিয়ে আমি সরকারি পঙ্গ হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি নিয়োগ পত্রটি ভুয়া।

এরপর বাড়িতে ফিরে আসামি ফারুক হোসেন জাকারিয়া কে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রতারণা করার কথা অবহিত করলে তিনি টাকা ফেরত দিবে বলে আশ্বস্থ করে সময় নেন। গত দুই বছর ধরে টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করছেন। যখনি তার কাছে টাকা চাওয়া হয় তখনি হুমকি ধামকি দেন।

ফারুক হোসেন জাকারিয়া এর আগে স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানব বন্ধন করে তার বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কিছুদিন পর তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। ১০ নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুন্নাহার লিলি জানান, ফারুক হোসেন জাকারিয়ার গত রমজান মাস শুরু হওয়ার পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কথা বলেন।

বিষয়টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে জানালে তিনি ফারুক হোসেন জাকারিয়াকে পাইলট বালিকা বিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড ও দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশনা দেন। তবে নিদের্শনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে তিনি জানান।