শার্শায় সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হুমকির ঘটনায় থানায় অভিযোগ

সংবাদ প্রকাশের জেরে শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা ও তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার শার্শা প্রতিনিধি ইকরামুল ইসলামকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং শার্শা বাজারে উঠলে জুতা পেটা করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় শনিবার ১৪ মে ইকরামুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ওই চেয়ারম্যানের বক্তব্যর ভিডিওটি ইতোমধ্যে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৭/৮ দিন আগে চেয়ারম্যান তোতার নামে চটকাপোতা গ্রামের একটি বিয়ে বাড়ি থেকে খাবার তুলে এনে তার সমর্থকদের ভিতরে বণ্টনের অভিযোগে বিভিন্ন অনলাইন এবং পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।

তারই জের ধরে ১৩ই মে শুক্রবার সাংবাদিক ইকরামুল ইসলামকে লক্ষ্য করে তিনি সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় সাংবাদিক ইকরামুল গালিগালাজ করার কারণ জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শার্শা বাজারে উঠলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সাজিদ সহ কয়েকজন ইকরামুলকে মারতে তেড়ে আসে, তখন স্থানীরা তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যে ঘঘটনাটি ইতিমধ্যে হুমকির আংশিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে ভাইরাল হয়েছে।

চেয়ারম্যান তোতা ও তার সন্ত্রাসী বাহিননীর অকথ্য ভাষার গালিগালাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচারনে সাধারণ জনগণ হতবাক হয়েছেন এবং সকলেই তার কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

এর আগেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সালিশের সুযোগ নিয়ে চেয়ারম্যান তোতার সমর্থকেরা চেয়ারম্যানের নাম করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়েও কিছুদিন আগে নানা পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। একারণেও সাংবাদিকদের উপর চেয়ারম্যানের একটা তীব্র ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কবির উদ্দীন তোতার মুঠোফোনে জানতে চাইলে ফোনটা বন্ধ পাওয়া যায়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।