মারিউপোলে শত শত ইউক্রেনীয় যোদ্ধার ভাগ্য শঙ্কায়

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বলেছে, গত তিন দিনে মারিউপোলের ১ হাজার ৭৩০ জন ইউক্রেনের সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আত্মসমর্পণ করেছে ৭৭১ জন। ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর দেশটির যোদ্ধাদের আত্মসমপর্ণ করার এই সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীর হাতে আটক এসব ইউক্রেনের সেনার ভাগ্যে কী ঘটবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বন্দিবিনিময় নিশ্চিত করা।

এছাড়া দখলকৃত আজভস্টল স্টিল কারখানায় আর কতজন ইউক্রেনের সেনা রয়েছে বা আত্মসমর্পণ করা সেনাদের ভাগ্যে কি জুটবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইউক্রেন।

ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা বলেন, স্টিল কারখানায় এখনো প্রায় অর্ধেক যোদ্ধা আছে। ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার এবং টানেল ইউক্রেনের সেনাদের রুশ বাহিনীর বোমার হাত থেকে রক্ষা করছে।

সলোভিওভ লাইভ ইন্টারনেট চ্যানেলে ডেনিস পুশিলিন বলেন, অর্ধেকেরও বেশি ইতোমধ্যে চলে গেছে- অর্ধেকেরও বেশি তাদের অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছে। তাদের আত্মসমর্পণ করতে দিন, তাদের বাঁচতে দিন।

তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যারা ফিট ছিল তাদের পেনাল কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ভালো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যোদ্ধাদের ভাগ্য নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারবেন না, কারণ তাদের উদ্ধারের জন্য পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে।

ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র অলেক্সান্ডার মোতুজায়নিক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘রাষ্ট্র আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের উদ্ধার করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রকাশ্যে যে কোনো তথ্য সেই প্রক্রিয়াকে বিপন্ন করতে পারে।’

তবে রাশিয়া অস্বীকার করেছে, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দী বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। মারিউপোলের যুদ্ধ প্রায় সমাপ্তির পথে। এটি রাশিয়ার এখন পর্যন্ত দখল করা সবচেয়ে বড় শহর।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৫দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির সংঘাত ক্রমশ বেড়েছে।