গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’

বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল উল্লেথ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া আর কিছু নয়।

সোমবার ২৩ মে  বিবৃতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির মহাসচিব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের তার বিবৃতিতে বলেন, অথচ প্রতিদিন গণমাধ্যমে বিএনপিনেতাদের মিথ্যাচারের সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপিনেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচার প্রতিদিন গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে।

রাজনৈতিক ব্যর্থতার ভারে ন্যুব্জ বিএনপির কাছে স্বাধীনতার অর্থ কী, তা দেশবাসী জানে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দুকের নলের মুখে গণমাধ্যমকর্মীদের জিম্মি করে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণে নিজেকে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে অসাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিনেতাদের মুখে গণমাধ্যমে স্বাধীনতার কথা মানায় না।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি—বিএনপি-জামাত অশুভ জোট শাসনামলে বিবিসির সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালুসহ ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল।

ওই সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি মামলা এবং ৮০০ হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক লিওপোল্ড ব্রুনো সরেন্তিনো, জেইবা মালিকসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালানো হয়েছিল।

এমনকি জঙ্গি হামলার ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনেক সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছিল। যার কারণে ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ বিএনপি’র শাসনামলে বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল।