এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ বাংলাদেশের

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঋণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ আমাদের। আমরা কখনো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি। সেজন্য বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশকে আরও বেশি ঋণ দিতে চায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষ সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে বিদেশি বিনিয়োগগুলো গ্রহণ করছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা অর্থায়ন সেই খাতে নেব যেখানে বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতির গ্রোথ হবে। আমরা ঋণ বুঝেশুনেই নেব।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক তো আসলে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী। এ বিষয়ে তারা (বিশ্বব্যাংক) আজ উল্লেখ করেছে যে,

বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি না। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে অনেক ভালো।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঢাকাসহ সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ব্যাপারে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া সেনিটেশন, ওয়াটার সাপ্লাই, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ডেভলপমেন্ট, ব্রিজ, রাস্তাঘাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সম্ভাব্যভাবে সবক্ষেত্র অর্থায়নের কথা বলেছে। আজকের মিটিংয়ের প্রেক্ষাপটে তারা তাদের হেডকোয়ার্টারে কিছু প্রোপজাল পাঠাবে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের ২.৮৭ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়নের প্রকল্পকাজ চলমান আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে একটি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের এবং আরেকটি ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তারা প্রায় একশ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তাদের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে তারা অনেক ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যে বিনিয়োগগুলোর ফলে আমাদের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সার্বিক উন্নয়ন হবে সেসব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং (ঋণ) নেয়ার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্ক আছি।

বিশ্বব্যাংক সারাবিশ্বে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় আমাদের তুলনায় তাদের অভিজ্ঞতা বেশি। সেজন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য বিষয়ে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বিশ্বব্যাংক নিজেই এখন স্বীকার করে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।