বাণিজ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি আমার লোভ নেই: টিপু মুনশি

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তেলের দাম বাড়ার পর বাম দল আমার পদত্যাগ দাবি করেছিল। বাণিজ্যমন্ত্রীর পদের প্রতি আমার লোভ নেই।

প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, যারা পদত্যাগ চেয়েছে তারা তেলের দাম কমাতে পারবে কিনা? ব্রাজিল অার্জেন্টিনা, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেমিয়ায় তেলের দাম না কমালে এটি সম্ভব?

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেলে নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম চেম্বারের মাসব্যাপী সিআইটিএফের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সাল বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলে গেছে। চার বছর আগে মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গেছি। একজন পাকিস্তানি জানতে চাইল, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাদু আছে?

আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অবদান আছে। সরকার ব্যবসা করবে না, ব্যবসায় সহায়তা করবে। কোভিড নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর গোষ্ঠী উদ্ধার হয়েছিল। বৃক্ষ তার ফলে পরিচয়। বাংলাদেশ সরকার অ্যাডভান্সড চিন্তা করেছিল।

তেলের দাম ভারতে ১৫ টাকা, পাকিস্তানে ৩৬ টাকা বেশি। ১০ শতাংশ তেল হয় দেশে। গম, ডাল আমদানি করতে হয়। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে তেল চিনি ছোলা দিয়েছি সাশ্রয়ী মূল্য। ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে। যত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এটি চলবে। ভর্তুকি দিতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে বহুকালের যোগাযোগ। এ মাটি অনেক বীর, আউলিয়ার দেহ রেখেছে। সাগরের মতো বিশাল মন চট্টগ্রামের মানুষের। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী।

চট্টগ্রাম অর্থনীতির লাইফ লাইন, গেটওয়ে। চট্টগ্রামের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সেই চট্টগ্রামকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বন্দরকে আপগ্রেড করতে হবে।

আশাকরি ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারব এবার। মহাসড়কে ১৩ টনের বাধা পণ্যের ওপর পড়বে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম এলে পাহাড়ের মাঝে শহর দেখতাম। সমুদ্রের হাতছানি দিত। একসময় চট্টগ্রাম পর্যটন নগরী ছিল। ঢাকা থেকে ট্রেন কক্সবাজার পর্যন্ত যাবে। ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে সেই চট্টগ্রাম চাই।