পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলোর বাতি জ্বালানো শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৬টা থেকে বাতিগুলো জ্বালানো শুরু হয়। একটি একটি করে ট্রায়াল হিসেবে জ্বালানো হচ্ছে বাতিগুলো।
শনিবার ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বালানো হবে। এছাড়া সেতুটির ১৪ থেকে ১৯ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত থাকা ল্যাম্পপোস্টগুলোর বাতি জ্বালানো হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এরমধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় গত ১৮ এপ্রিল।
জানা গেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোরে পর্যাপ্ত আলো না আসা পর্যন্ত জ্বালিয়ে রাখা হবে এসব বাতি। ল্যাম্পপোস্টগুলোর দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ২ মিটার। একটি ল্যাম্পপোস্ট থেকে আরেকটির দূরত্ব ৩৭ দশমিক ৫ মিটার। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের ওজন ২৭৫ কেজি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের তড়িৎ প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন সমকালকে বলেন, আজকে ২৪টি বাতিতে আলো জ্বালানো হবে। একটি একটি করে বাতিগুলো জ্বালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিনদিন বেশি সময় লাগবে ল্যাম্পপোস্টে তার সংযোগের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে। কাজ চলমান আছে। দুই প্রান্তের সাব-স্টেশনে সংযোগ দিয়ে সেতুর বাতি জ্বালানো হবে। সাব-স্টেশনের সঙ্গে সেতুর তার সংযোগের কাজও বাকি আছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হলেও এসব ল্যাম্পপোস্টের কোনো ক্ষতি হবে না। নিউট্রাল সাদা আলো দেবে এসব বাতি। চীনের ফিলিপস কোম্পানি ১৭৫ ওয়াটের এসব বাতি তৈরি করেছে। দিনের বেলা এসব ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বলবে না। শুধু অন্ধকার হলে জ্বলবে। ল্যাম্প পোস্টগুলো তৈরি হয়েছে চীনে। তবে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তার বাংলাদেশি।